মানুষ দিন দিন হৃদয়হীন হয়ে পড়ছে! পশুদের প্রতি নারকীয় অত্যাচারের একটা ট্রেন্ড শুরু হয়েছে। প্রথমে কেরলে হাতি হত্যা, তারপর হিমাচলে গরুর মুখে বাজি ফাটানো, অসমে চিতাবাঘ খুন করে পৈশাচিক উল্লাস এবং এবার একই ঘটনা ঘটল তামিলনাড়ুতে। তামিলনাড়ুর তিরুচির জিয়াপুরমের ঘটনা। বন দপ্তরের কর্মীরা একটি শেয়ালের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করেন। শিয়ালটির মুখ বিস্ফোরণে উড়ে গিয়েছে। জঙ্গলের কাছাকাছি একটি অঞ্চল থেকে উদ্ধার হয়েছে মৃতদেহ। বন দপ্তরের কর্মীরা জানাচ্ছেন, বিস্ফোরণের পর যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে শিয়ালটি।
জানা গিয়েছে, বোমা ভর্তি মাংস খাইয়ে নারকীয় হত্যা করা হল একটি শিয়ালকে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এখনও পর্যন্ত ১২ জন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শিয়ালটি মাংসটি মুখে পুরতেই বিস্ফোরণ ঘটে। তার জেরে তীব্র যন্ত্রণা পেতে পেতে শিয়ালটি মারা যায়। শেয়ালটির চোয়াল ও গলার বেশ কিছুটা অংশ বিস্ফোরণে উড়ে গিয়েছে। ১২ জনের বিরুদ্ধে বন্য জন্তু শিকারের মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্তরা স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দা। তাঁরা জঙ্গলে মধু সংগ্রহ করে। শিয়ালের মাংস খাওয়ার জন্যই এই জঘন্য কাজ তাঁরা করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, কাজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে এলাকায় একটি শিয়ালকে ঘুরে বেড়াতে দেখে তারা। তখনই শিয়াল শিকার করার জন্য নারকীয় পন্থা নেয় তারা। শিয়ালটাকে হত্যা করার পর তাকে ব্যাগে পুরে একটি চায়ের দোকানে ওই ১২ জনের দলটি নিয়ে এসেছিল। সেই দোকানে উপস্থিত ছিলেন এক পুলিশ কনস্টেবল। তাঁর চোখে পড়তেই এই ঘটনাটি সামনে আসে। ওই ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁরা পুরো ঘটনা স্বীকার করে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।