শিয়াল গেল খাঁচায়। কলকাতা বিমানবন্দরে অনেক সময় দেখা গিয়েছে, রানওয়ে ধরে যখন ছুটে যাচ্ছে বোয়িং ৭৩৭। তখন পাইলট দেখছেন রানওয়ের মাঝে পিকনিক সারছে শিয়াল পরিবার৷ মাঝে মধ্যেই পটকা ফাটিয়ে বা খাঁচা গাড়ি নিয়ে দৌড় দিয়েছেন বন কর্মীরা। কিন্তু শিয়াল ধরা আর সম্ভব হয়ে ওঠেনি। অবশেষে নারিকুরাভার–দের হাত ধরেই আপাতত সাত শিয়াল বিমানবন্দর ছেড়ে বন দপ্তরের জঙ্গলে নতুন সংসার পাততে রওনা দিল।
চেন্নাই থেকে নিয়ে আসা হয় নারিকুরাভার–দের। দক্ষিণ ভারত থেকে আসা আদিবাসীদের এই বিশেষ দলকে বলা হয় শিয়াল মানুষ। কারণ প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই সম্প্রদায় শিয়াল ধরার কাজ করে আসছেন। গত কয়েকমাস ধরেই পাইলটদের পক্ষ থেকে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলে একাধিক এস ও এস পাঠানো হয়েছে। কারণ রানওয়েতে শিয়াল। প্রায় ১০–১২টি শিয়াল চলে আসছে। এভাবে শিয়ালের সংখ্যা বৃদ্ধি ও রানওয়েতে চলে আসা চিন্তায় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে৷ কিন্তু এই প্রাণীটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন ১৯৭২ অনুযায়ী সংরক্ষিত প্রাণী। তাই গুলি করে মারতে গেলে বিশেষ অনুমতি প্রয়োজন। যে অনুমতি কেন্দ্র–রাজ্য কেউই দেয়নি৷ তাই ডেকে পাঠানো হয় নারিকুরাভার–দের।
তামিলনাড়ুর এই যাযাবর গোষ্ঠী শিয়াল ধরায় অভিজ্ঞ। ২২ জনের একটি দল আসে এখানে। তারাই ধরতে পেরেছেন প্রায় ৭টি শিয়ালকে। যাদের আপাতত পাঠানো হয়েছে বন দপ্তরে। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, রাজারহাটের দিক থেকে ঢুকে পড়ে এই শিয়ালগুলি। লুকিয়ে থাকার দারুণ জায়গা শিয়ালদের। আপাতত ৭টি ধরা হয়েছে। তবে আরও বেশ কয়েকটি থাকতে পারে। আপাতত নজরদারি চালানো হচ্ছে। ফের দেখা মিললে আবার নেমে পড়বেন নারিকুরাভার সম্প্রদায়।