হালিশহরে বিজেপি’র বুথ সভাপতি খুনের ঘটনায় এখনও থমথমে বারেন্দ্র গোলি এলাকা। দুষ্কৃতীরা বাঁশের মাথায় পেরেক লাগিয়ে এনেছিল, সঙ্গে ছিল হকি স্টিক এবং লোহার রড। প্রায় ৬টি মোটরবাইকে করে এসেছিল ১০ থেকে ১২ জন। তারপর রাজনৈতিক হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল বিজেপি সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি মুকুল রায়ের এলাকা। উত্তর ২৪ পরগনার বীজপুর থানা এলাকার হালিশহর। শনিবার ভর সন্ধ্যায় প্রকাশ্য রাস্তায় পিটিয়ে এক বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনা ঘিরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে বীজপুর থানার পুলিশ গিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার তদন্তে নেমে ৪ জনকে আটক করেছে বীজপুর থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধেবেলা হালিশহর এলাকায় ‘গৃহ–সম্পর্ক অভিযান’ কর্মসূচিতে শামিল হয়েছিল স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানেই ছিলেন সৈকত ভাওয়াল নামে ৩৫ বছরের এক যুবক। তিনি বরাবর এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত। অভিযোগ, কোনও প্ররোচনা ছাড়াই আচমকা সৈকতের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে কয়েকজন দুষ্কৃতী। মোটরবাইকে এসে তারা সৈকতকে ঘিরে ধরে মারধর করতে শুরু করে। পিটিয়ে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
গেরুয়া শিবির সূত্রে দাবি, বিজেপি’র বুথ সভাপতি সৈকত ভাওয়াল আরও কয়েকজনের সঙ্গে বারেন্দ্র গলিতে গৃহ–সম্পর্ক অভিযানে বেরিয়েছিলেন। অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আচমকাই হামলা চালায়। প্রথমে মারধর করা হয় বিজেপি’র বুথ সভাপতিকে। তারপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে বুথ সভাপতিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে যান বীজপুরের বিধায়ক, মুকুলুপুত্র শুভ্রাংশু রায়। যারা এই ঘটনার জন্য দায়ী, তাদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি তুলেছেন তিনি। বিজেপি’র অভিযোগ, মোটরবাইক নিয়ে যারা সৈকতকে ঘিরে ধরেছিল, তারা সকলেই এলাকায় কুখ্যাত দুষ্কৃতী বলে পরিচিত এবং তৃণমূলের আশ্রিত বলে তাঁর দাবি। দিলীপ ঘোষের আশঙ্কা, ভোট যত এগিয়ে আসবে, বাংলায় হিংসাও তত বাড়বে। ঘটনার বদলা হবে বলে তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি নেতা শুভ্রাংশু রায়। আর পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র মৃত বলে টুইট করেন মুকুল রায়।
