১২ ফেব্রুয়ারি ছিল বিধাননগর, আসানসোল,শিলিগুড়ি ও চন্দননগর পুরসভার ভোট গ্রহণ, আজ ১৪ ই ফেব্রুয়ারি এই চার পুরসভার ভোট গণনার দিন। লাল-গেরুয়া শিবিরকে পেছনে ফেলে চার পুরসভায় প্রথম থেকেই এগিয়ে ছিল ঘাসফুল শিবির।
বিধাননগরের ৪১টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ৩৯ টি আসন।কংগ্রেস ও নির্দল একটি করে আসন পেয়েছে।
আসানসোল পুরনিগমের ১০৪ টি আসনের মধ্যে ৮৯টি আসনে জয়লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি ৭টি আসন ও সিপিএম পেয়েছে ২টি আসন। অন্যদিকে বামেদের থেকে এগিয়ে গিয়ে কংগ্রেস দখল করে নিয়েছে ৩ টি আসন।
পাশাপাশি শিলিগুড়ি পুরসভায় ৩৭টি আসন জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি ৫টি, বামেরা ৪টি ও কংগ্রেস পেয়েছে ১ টি আসন।
কিছুদিন আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে গিয়েছিলেন বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্ত। তিনিও এবার জয়ী হয়েছেন। জানা গেছে জয়ী হওয়ার পর সস্ত্রীক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদ নেওয়ার জন্যও গিয়েছিলেন প্রাক্তন মেয়র।
বাংলায় বহাল তবিয়তে বজায় রয়েছে মমতা ম্যাজিক। আর সেই ম্যাজিকে ভর করেই চার পুরনিগম এল তৃণমূলের হাতে। আর বিধানসভায় বিরোধী দল হিসেবে উঠে আসা বিজেপি কার্যত ধুলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। গত বিধানসভা নির্বাচনের ফলের নিরিখে যেখানে এগিয়ে ছিল বিজেপি, সেখানেই এবার তৃণমূলের রমরমা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, বিরোধী আসন থেকে ক্রমেই বিলীন হয়ে যাচ্ছে বিজেপি। আর ফের বিরোধী পরিসরের জায়গা দখল করছে বামেরা।