নারদ গ্রেপ্তারি মামলায় পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী সোমবার সকাল ১১টায় হাইকোর্টের যে বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানি হবে। জামিন হয়নি দুই বিচারপতির মতভেদের পর। তাই চার নেতাকে গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। গৃহবন্দি দশায় কীভাবে থাকতে হবে, তার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে রয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল, বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি সৌমেন সেন।
এই পাঁচজনের মধ্যে তিনজন বাঙালি বিচারপতি। পুরসভায় যেতে না পারলে ফিরহাদ কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন কীভাবে? প্রশ্ন তুলেছিলেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তাঁর জামিন চেয়েছিলেন। তবে তা হয়নি। আপাতত গৃহবন্দি ফিরহাদ হাকিমরা। বাড়িতেই তাঁদের ভার্চুয়ালি অফিসিয়াল কাজ সম্পন্ন করার ছাড়পত্র দিয়েছে আদালত। জেল হেফাজত থেকে মুক্তি পেলেও আপাতত গৃহবন্দি হয়েই থাকতে হবে চার নেতামন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁরা গৃহবন্দি থাকলেও বাড়িতে বসে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কাজ করতে পারবেন।
অভিযুক্তদের বাড়ির সামনে সিসিটিভি না থাকলে তার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রশাসনিক কাজকর্মের ফাইলপত্র পাঠাতে হবে অনলাইনেই। যদি কেউ অভিযুক্তদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন তাহলে কে এসেছেন, কেন এসেছেন, কখন এসেছেন, কতক্ষণ ছিলেন, সমস্তটা নথিভুক্ত করতে হবে। তৃণমূল সাংসদ এবং আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতকে বলেছিলেন, ‘মামলা যদি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানো হয়, তবে আজই পাঠানো হোক। বিষয়টি দ্রুত সমাধান করতে হবে। আমরা চাই এই ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত হোক।’ কিন্তু তা করা হয়নি।
সরকারি আধিকারিক দেখা করতে পারবেন না। যদি কোনও প্রশাসনিক বৈঠক থাকে তবে তা ভার্চুয়ালি করতে হবে। ভিডিও কনফারেন্সের তথ্য রেকর্ড করে রাখতে হবে। অন্য কোনও কাজে ভিডিও কনফারেন্স করা যাবে না। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না চার অভিযুক্ত। চেতলার বাড়িতে ফিরেছেন ফিরহাদ হাকিম। বাড়িতে কলকাতার কোভিড পরিস্থিতি ও ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের মোকাবিলা নিয়ে পুর আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেছেন ফিরহাদ হাকিম।