আর্থিক দুর্নীতি ও অর্থ তছরুপ মামলায় গ্রেপ্তার করা হল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ কেডি সিং–কে। বুধবার তাঁকে দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সূত্রের খবর, অ্যালকেমিস্ট গ্রুপের কর্ণধারের বিরুদ্ধে ২৩৯ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। এদিন দিল্লিতে গ্রেপ্তার করেন ইডি’র সদর দপ্তরের আধিকারিকরা। আজকেই আদালতে তোলার সম্ভাবনা। আজ সকাল থেকেই তদন্তকারীরে তাঁর বাড়িতে ছিলেন। এরপর তাঁকে প্রথমে আটক করা হয়। এরপর তাকে গ্রেপ্তার করে ইডি’র আধিকারীকরা।
ইডি সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদকে মঙ্গলবার ডাকা হয়েছিল। দীর্ঘক্ষণ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁর থেকে বিভিন্ন নথি চাওয়া হয়। একইসঙ্গে তাঁকে বুধবার আরও এক দফায় ডাকা হয়। কিন্তু সেখানে রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ নথি পেশ করতে পারেননি। তারপরই কেডি সিংকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সারদা এবং নারদ কাণ্ডের সময়ও একাধিকবার তাঁর নাম উঠে এসেছে। জেল থেকে সুদীপ্ত সেনের লেখা চিঠিতেই কেডি সিং–এর নাম ছিল। সূত্রের খবর, বিগত কয়েকবছর ধরেই নজরে ছিলেন কেডি সিং। এমনকী গত কয়েকদিন ধরেই দফায় দফায় তাঁকে জেরা চলছিল। আজও তাকে জেরা করা হয়। কেডি সিং–এর বয়ানে অসঙ্গতি মেলে আর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই আর্থিক দুর্নীতিতে নাম জড়িয়ে যায় লগ্নিসংস্থা অ্যালকেমিস্টের নাম। তদন্তকারীদের অভিযোগ ছিল, বেআইনিভাবে বাজার থেকে কয়েকশো কোটি তোলা তুলেছিল অ্যালকেমিস্ট। সেই অঙ্কটা প্রায় ১,০০০ কোটি টাকা হবে বলে একটি সূত্রের দাবি। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের করে ইডি। তদন্তকারীদের অভিযোগ ছিল, ২০১৫ সালের মধ্যে বেআইনিভাবে বাজার থেকে কয়েকশো কোটি তোলা তুলেছিল অ্যালকেমিস্ট। সেই অঙ্কটা প্রায় ১,৯১৬ কোটি টাকা হবে। সেই অর্থ বিদেশেও পাচার করা হয়েছিল।
বিধানসভা ভোটের মাসকয়েক আগেই তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় যথারীতি রাজনীতি শুরু হয়েছে। যদিও কেডি’র সঙ্গে দীর্ঘদিন তৃণমূলের সম্পর্ক ছিল না বলে দাবি করেছেন সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন, ‘আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না। তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। তিনি এখন সাংসদও নয়। দোষ নিশ্চয়ই করেছে, তাই গ্রেপ্তার করা হয়েছে’।
