শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে এবার রাজ্যের প্রাক্তন স্কুলশিক্ষা সচিব দুষ্মন্ত নারিয়ালকে তলব করে সিবিআই। শনিবার সিবিআই দফতর নিজাম প্যালেসে হাজির হন প্রাক্তন শিক্ষা সচিব। ২০১৬-এর জুন থেকে ২০১৮-এর জুন মাস পর্যন্ত স্কুলশিক্ষা সচিব ছিলেন সচিব দুষ্মন্ত নারিয়াল। ওই সময়ে স্কুলে শিক্ষাকর্মী নিয়োগের মাঝপথেই বিধি বদল করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। কেনো এই বিধি বদল করা হয়েছিল সেই সময়? কারোর নির্দেশে এই বিধি বদল হয়েছিল? জানতে চায় সিবিআই। সিবিআই ইতিমধ্যে একাধিকবার বর্তমান শিক্ষাসচিব মনীশ জৈনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। পাশাপাশি বিকাশ ভবনেও প্রাথমিক, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগে নানা নথির খোঁজে তারা তল্লাশিও চালিয়েছে।
নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিচারপতি অমৃতা সিনহার রায়কেই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। অভিষেকের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং ইডি যেমন তদন্ত চলছিল সেই রকমই তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে। প্রয়োজনে আবারো তাদের ডেকে পাঠাতে পারবে এই দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
অন্যদিকে বিচারপতি অভিষেককে এফআইআর খারিজের আবেদন করার পরামর্শ দিয়েছেন। কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এম ভি রাজু মামলার শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্টে জানান, “শিক্ষক নিযোগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেকের বিরুদ্ধে কিছু যোগ পাওয়া গেছে।” দুই পক্ষের সওয়াল জবাবের পর শীর্ষ আদালতের তরফে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোনও রক্ষাকবচ দেওয়া হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় কেন্দ্রীয় দুই তদন্তকারী সংস্থাকে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।