দেশ বিনোদন ব্রেকিং নিউজ

লতার কণ্ঠে ‘অ্যায় মেরে ওয়াতান কে লোগো…’ শুনে কেঁদে ফেলেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নেহরু

লতার কণ্ঠে ‘অ্যায় মেরে ওয়াতান কে লোগো, জারা আঁখমে ভর লো পানি…’ -গান শোনেননি এমন ভারতীয় খুঁজে পাওয়া কঠিন। প্রতিটি মানুষের চোখে জল এনে দেয় লতার কণ্ঠে এই দেশ ভক্তিমূলক গান। এমনকি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরুও লতা মঙ্গেশকরের কণ্ঠে এই গান শুনে অশ্রু ধরে রাখতে পারেননি!

ভারতের প্রায় সবকটি ভাষাতেই গান গেয়েছেন লতা মঙ্গেশকর। মানুষের মনের মণিকোঠায় তাঁর স্থান বরাবর।তাঁর কণ্ঠ আমাদের প্রতিটি আবেগকে নাড়া দেয়। মানুষের সুখে-দুঃখে-ভালোলাগা-মন খারাপে তাঁর কণ্ঠ যেন মহৌষধ। অনুভূতিরা ধরা দিয়েছে তাঁর গানে প্রতিক্ষণ। ডিজিটাল যুগেও তাঁর গান অমর। তাঁর অনেক পুরনো ও দুর্লভ রেকর্ডের জন্য আজও সঙ্গীত প্রিয় মানুষ খুঁজে চলেছেন।

১৫ আগস্ট হোক বা ২৬ জানুয়ারি কিংবা কোন মনীষীর আবির্ভাব বা তিরোধান দিবসে তাঁর গাওয়া দেশভক্তি গানের কোনও বিকল্প নেই। তাঁর কণ্ঠে গানের প্রতিটি শব্দ যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে লাউড স্পিকারে।

সেটা ১৯৬৩ সালের কথা। মঞ্চে তত্‍কালীন প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরু। মাইকের সামনে দাঁড়িয়ে সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর। ভারতীয় সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গাইলেন, ‘অ্যায় মেরে ওয়াতান কে লোগো…’। শোনা যায় গান শুনতে শুনতে নেহেরু নিজের চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। জনসমক্ষেই কেঁদে ফেলেছিলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর অধুনা মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহরে জন্মগ্রহণ করেন লতা। বাবা-মায়ের দেওয়া নাম হেমা মঙ্গেশকর। লতার বাবা ছিলেন পণ্ডিত দীননাথ মঙ্গেশকর। তিনি বিখ্যাত শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী এবং মঞ্চাভিনেতা ছিলেন। মায়ের নাম সেবন্তি দেবী। লতার পারিবারিক পদবী ছিল হারিদকর। পরিবারসূত্রে মঙ্গেশকরেরা ছিলেন গোয়ার মঙ্গেশ মন্দিরের পুরোহিত। সেই সূত্রের কথা মনে রেখেই দীননাথ হারিদকর উপাধি পাল্টে তাঁদের পদবী রাখেন মঙ্গেশকর। চার সন্তানের মধ্যে হেমাই (ওরফে লতা) বড়। ২০০১ সালে প্রৌঢ় বয়সে লতা দেশের সেরা সম্মান ‘ভারতরত্ন’ সম্মানে ভূষিত হন। তারপর ২০০৭ সালে ফ্রান্সের শ্রেষ্ঠ নাগরিক সম্মান লিজিওন অফ অনারে তাঁকে সম্মানিত করা হয়।