Class1 to class 8 all students will be promoted' declaired Education Minister in West Bengal. This decision is taken due to corona disaster.
ব্রেকিং নিউজ রাজ্য

ফের এসএসসি দুর্নীতিতে নাম প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর

এসএসসির গ্রুপ-সি নিয়োগেও দুর্নীতি! ফের নাম জড়ালো প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরও। শুক্রবার হাইকোর্টে সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে জমা হওয়া রিপোর্টে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে শান্তিপ্রসাদ সিনহা এবং সৌমিত্র সরকারকে।বেআইনি নিয়োগে নাম উঠে এসেছে অশোককুমার সাহারও। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের তৈরি করা নিয়োগ কমিটিকে বেআইনি এবং ভুয়ো আখ্যা দেওয়া হয়েছে এই রিপোর্টে। যাঁদের নাম বেআইনি নিয়োগে জড়িয়েছে, প্রত্যেকের নামে, শুধুমাত্র প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ব্যতিক্রম, এফআইআর-এর সুপারিশ দিয়েছে বাগ কমিটি।

হাইকোর্টে জমা পড়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, শান্তিপ্রসাদ সিনহার নির্দেশে পরীক্ষায় সফল না হয়েও পরীক্ষার্থীদের চাকরিতে নিযুক্ত করা হয়েছিল। বৈধ নিয়োগ হয়েছে শর্মিলা মিত্রর নেতৃত্বে। কিন্তু ডক্টর সৌমিত্র সরকার ও শান্তিপ্রসাদ সিনহা, প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরও নিয়োগ করেছেন। সমরজিত্‍ আচার্য ও শান্তিপ্রসাদ সিনহা ৩৮১টি বেআইনি নিয়োগ করেছেন। কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে সই স্ক্যান করা হয়ছে। ২২০ জন লিখিত এবং পার্সোনালিটি টেস্ট পাশ করেননি। তাঁরাও সুপারিশপত্র পেয়েছেন।

বাগ কমিটির সুপারিশে শাস্তির পক্ষে সওয়াল করে বলা হয়েছে
১) মে ২০১৯ সালে ৩৮১ জনকে বাতিল তালিকা থেকে চাকরি দেওয়া হয়েছে।

২) এস পি সিনহার স্বাক্ষর ছিল,তালিকার বাইরে থেকে চাকরি পেয়েছেন ২৯ জন।

৩) ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন অশোককুমার সাহা, এসপি সিনহার বিরুদ্ধে।

৪) ৩৮১ জনের নাম রেকমেন্ড করেছিলেন এসপি সিনহা ও সমরজিত্‍ আচার্য্য। তাঁদের বিরুদ্ধে ইন্ডিয়ান পেনাল আইনে তদন্ত হওয়া উচিত।

৫) কল্যাণময় গাঙ্গুলি কেন রেকমেন্ড করেছিলেন, তাও কমিটির নজরে এসেছে। তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার তদন্ত হওয়া দরকার।