কোলে সদ্যজাত। হাসপাতালের দরজায় দরজায় ঘুরছেন এক ব্যক্তি। আলো–আঁধারির মধ্যে অনেকেই তাঁকে চিনতে পারেননি। শহর কলকাতা বেনজির ঘটনার সাক্ষী থাকল। মধ্যরাতে চারদিনের সদ্যোজাতকে নিয়ে তিনটি হাসপাতাল ঘোরার পর অবশেষে নিজের পরিচয় দিয়ে পার্কস্ট্রিটের এক বেসরকারি হাসপাতালে সদ্যজাত শিশুকে ভর্তি করাতে পারলেন ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন ফুটবলার ক্রোমা।
দেশজুড়ে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের কুর্ণিশ জানাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী থেকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। অথচ কলকাতা ময়দানের প্রাক্তন ফুটবলারকে সদ্যজাতকে নিয়ে হাসপাতালের দরজায় দরজায় ঘুরতে হচ্ছে। কেউ ভর্তি নিতে চাইছেন না। জানা গিয়েছে, ক্রোমার চারদিনের সদ্যজাত সন্তানের রবিবার জন্ডিস ধরা পড়ে। এরপরে তাকে শহরের একাধিক হাসপাতলে নিয়ে গেলেও ভর্তি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। প্রতিক্ষেত্রেই করোনার দোহাই দেওয়া হয়েছে।
ক্রোমার পরিবার সূত্রে খবর, চারদিনের এই সন্তানকে নিয়ে যাওয়া হয় পিয়ারলেস হাসপাতালে। সেখানে তাকে ভর্তি নেওয়া হয়নি। তারপরে ঢাকুরিয়া আমরিতেও ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এমনকী শ্যামবাজারের স্টারলিং হাসপাতালেও করোনার দোহাই দিয়ে সদ্যোজাতকে ভর্তি নেওয়া হয়নি। অবশেষে পার্কস্ট্রিটের নেওটিয়া হাসপাতলে জন্ডিসে আক্রান্ত চারদিনের সদ্যোজাত সন্তানকে ভর্তি নেওয়া হয়। এই ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে পড়ল শহরের বেসরকারি হাসপাতালগুলির ভূমিকা।