রাজ্য

ডুয়ার্সের জঙ্গলে বনকর্মী ও পাচারকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ, শূন্যে গুলি

ডুয়ার্সের জঙ্গলে কাঠ পাচারকারীরা হামলা চালাতে এলে শূন্যে গুলি চালায় বনকর্মীরা। শুক্রবার রাতের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ডুয়ার্সে।

বন দফতর সূত্রে খবর, টায়ারের টিউবে হাওয়া ভরে বাঁশের মাঁচায় চোরাই শাল গাছের মোটা গুড়ি বেঁধে তা ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল সোনাখালি জঙ্গল মধ্যবর্তী মাজাই নদীতে। গোপন সুত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার গভীর রাতে অভিযানে নামে সোনাখালি বিটের বনকর্মীরা। এরপরের গল্প সিনেমার গল্পের থেকে কোনও অংশে কম নয়।

পাচারকারীদের তাড়া করতেই তাঁরা হামলা চালাতে বনকর্মীদের দিকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে তেড়ে আসে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শূন্যে গুলি ছোড়ে বনকর্মীরা। বিপদ বুঝে পালিয়ে যায় পাচারকারীরা।

বিট অফিসের থেকে ঢিল ছোড়া দুরেই এশিয়ান হাইওয়ে ৪৮ লাগোয়া নদীতে এই ধরনের মাচায় তিনটি চোরাই বিশালাকায় শাল গাছের গুড়ি ভাসিয়ে নিয়ে চম্পট দেওয়ার তালে ছিল পাচারকারীরা। খবর মিলতেই বনকর্মীরা হানা দেয় ওই এলাকায়।পাচারকারীরা বনকর্মীদের আন্দাজ করতে পেরেই হুমকি দিতে শুরু করে। তাদের দিকে তেড়ে আসে জনা ২৫ কাঠ পাচারকারীদের একটি দল।

সেই সময় বিট অফিসার শুন্যে এক রাউন্ড গুলি চালালে পাচারকারীরা নদী থেকে পালিয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে।এরপরই জলে নেমে শুরু হয় কাঠ উদ্ধারের কাজ।

অভিযোগ রাতের অন্ধকার এবং বৃষ্টির সুযোগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এই কাঠ পাচারের প্রক্রিয়া চলছিল। এবারেও মাজাই নদীতে জল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই অভিনব কায়দায় সোনাখালি,খুট্টিমারী, গোসাইরহাট জঙ্গলে চলে কাঠ পাচার। অবৈধ এই ব্যবসায় খুব অল্প সময়ে ফুলেফেঁপে উঠছিল কাঠ মাফিয়ারা।

ঘটনায় রেঞ্জ অফিসার রাজকুমার পাল টেলিফোনে জানান খবর পেয়ে আমাদের ৩ জন বনকর্মী অভিযানে গেলে তাদের দিকে ধেয়ে আসে জনা ২৫ পাচারকারী। ওই পরিস্থিতি সামাল দিতে শূন্যে ১ রাউন্ড গুলি ছুড়লে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। অনুমান এরা স্থানীয় বনবস্তির বাসিন্দা।

বনদফতরের এ সিএফ বিপাশা পারুল বলেন প্রায় ৬০ সেফটি শাল, সেগুনের লগ উদ্ধার হয়েছে। যদিও এই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি বনদপ্তর।ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং যারা এই ঘটনায় যুক্ত তারা স্থানীয় জঙ্গলের এলাকার লোক বলে অনুমান। তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।