মানুষের বেঁচে থাকতে গেলে ন্যূনতম চাহিদা খাবার এবং পানীয় জল। আর এই দুটোই পাওয়া গেল না শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে। ভুখা পেটে কেউ কেউ যাত্রা করলেন। আর ক্ষোভে ফেটে পড়লেন অধিকাংশ যাত্রীরা। দুর্গাপুর, আসানসোল স্টেশনে বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা। পকেটে রেস্ত নেই। যাতে কিনে খাওয়া যাবে। আর কেনা সম্ভবও নয়। কারণ লকডাউনে সব দোকানপাট বন্ধ।
জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার বেঙ্গালুরু থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা এবং চিকিৎসা করাতে গিয়ে আটকে পড়া রাজ্যবাসীকে নিয়ে রওনা দেয় শ্রমিক ট্রেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ট্রেনটি দুর্গাপুর স্টেশনে পৌঁছয়। ইঞ্জিন পাল্টানোর জন্য ট্রেনটি স্টেশনে থামতেই প্ল্যাটফর্মে নেমে পড়েন যাত্রীরা। রেলকর্মী এবং আধিকারিকদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁদের অভিযোগ, ট্রেনে পর্যাপ্ত খাবার–জল নেই। বাচ্চাদের নিয়ে ফিরতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
যাত্রীদের বাড়ি হাওড়া, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়ায়। অনেকেই জল না পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। দুর্গাপুর স্টেশনে তাঁদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করিয়ে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। আসানসোল স্টেশনেও একই কারণে যাত্রী বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় রেল ও জেলা প্রশাসনকে। তাঁদের অভিযোগ, পুরুলিয়ায় নামতে চাইলেও তাঁদের নামতে দেওয়া হয়নি।
২৪ জন যাত্রীকে ওই ট্রেন থেকে নামিয়ে অন্যভাবে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। যাত্রীদের অভিযোগ, রেলের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে।
