এবার দেশের সাংসদদের মুখের খাবার কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে। কারণ সংসদ ভবনের ক্যান্টিনে ভর্তুকি খাবার বন্ধের ঘোষণা করলেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি সাংসদরা ঢোঁক গিললেও বাকিরা মনে মনে খুশি হননি। এতদিন সংসদের ক্যান্টিনে খাবার কিনলে ভর্তুকি পেতেন সাংসদরা। দু’বছর আগেই সাংসদ ক্যান্টিনে ভর্তুকি তুলে দেওয়ার দাবি উঠেছিল। এবার সেই দাবিকেই মান্যতা দিলেন ওম বিড়লা।
লোকসভার বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটিতে থাকা সব দলের সদস্যরা এদিন সর্বসম্মতভাবে ভর্তুকি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এবার থেকে নির্ধারিত দামেই সংসদ ক্যান্টিন থেকে খাবার কিনতে হবে সাংসদদের। কারণ এই ক্যান্টিনে বছরে ১৭ কোটি টাকার ভর্তুকি দেওয়া হত। ফলে অনেকটাই সস্তায় খাবার কিনতে পারতেন সংসদরা।
উল্লেখ্য, ক্যান্টিনের মূল্যের তালিকা অনুযায়ী, এতদিন পর্যন্ত ৫০ টাকায় চিকেন কারি দেওয়া হত। ভেজ থালির দাম ছিল ৩৫ টাকা। থ্রি কোর্স মিলের দাম ছিল ১০৬ টাকা। দক্ষিণ ভারতের খাবারের ক্ষেত্রেও ছাড় থাকত। সাদা ধোসা পাওয়া যেত মাত্র ১২ টাকায়। ২০১৮ সালে আরটিআই করার সওয়ালের জবাবে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল।
এখন সিদ্ধান্ত হয়েছে সংসদ অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে এবার থেকে সাংসদদের করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। ২৯ জানুয়ারি থেকে শীতকালীন অধিবেশন শুরু হবে। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত চলবে অধিবেশন। লোকসভার কাজকর্ম চলবে রাত আটটা পর্যন্ত হবে। ২৭–২৮ জানুয়ারি সংসদে আরটিআই–পিসিআর পরীক্ষার আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন ওম বিড়লা।