রাজ্য

ভেজাল নজরদারিতে প্রথমসারিতে বাংলা

খাদ্য সহ তার মান, ভেজাল রুখতে নজরদারি, খাবারের ব্যবসা সংক্রান্ত লাইসেন্স জারিতে দ্রুত উদ্যোগের মতো বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ দেশের মধ্যে প্রথম সারিতেই রয়েছে। রিপোর্ট প্রকাশ করে এই কথা জানিয়ে দিল কেন্দ্র। নিরাপদ খাদ্য সংক্রান্ত বিষয়ে সমীক্ষা চালানোর পাশাপাশি রাজ্যগুলির থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ‘ফুড সেফটি ইনডেক্স’ও প্রকাশ করেছে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়া (এফএসএসএআই)।

এই সংস্থার রিপোর্টেই দেখা যাচ্ছে, সুরক্ষিত খাদ্যের বিষয়ে রাজ্যের সক্রিয়তার পাশাপাশি ভেজাল রুখতে নজরদারি, গ্রাহকের অভিযোগ পাওয়ার পর সমস্যা মেটানোর দ্রুত উদ্যোগের নিরিখে রাজ্য ভালো অবস্থায় আছে। একইসঙ্গে আরও দেখা যাচ্ছে, খাবারের মান জানতে টেস্টিং ল্যাব, সুরক্ষিত খাদ্য বিষয়ে অনুশীলন, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন খাবার পরিবেশনের মতো একগুচ্ছ বিষয়ে বড় রাজ্যগুলির মধ্যে অষ্টম স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।

সবার শীর্ষে রয়েছে গুজরাত। আর সবচেয়ে শেষে স্থানে রয়েছে বিহার। উল্লেখিত বিভিন্ন ক্ষেত্রকে মোট পাঁচটি বিভাগে ভাগ করে পরীক্ষার মতো মোট ১০০ নম্বরের একটি মার্কশিট দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ পেয়েছে ৫৪। যেখানে গুজরাত মোট ৭২ নম্বর পেয়েছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে কেরল এবং তামিলনাড়ু। যেসব রাজ্য কম নম্বর পেয়েছে, তাদের উদ্যোগ বাড়াতে বলা হয়েছে।

একইসঙ্গে প্যাকেটজাত খাদ্যের মাধ্যমে মানুষের মেদ বাড়ানোর ঝুঁকি কমানোর উপরও জোর দিয়েছে এফএসএসএআই। অথচ গোটা দেশের ৪১৯টি শহরে তথা জেলায় সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, মিষ্টি, চকোলেট, ভাজা খাবার, কেক পেস্ট্রির মতো বেকারি ও কনফেকশনারির খাবার, ফ্রোজেন ফুড, বনস্পতি, মার্জারিন, তেল থেকে ট্রান্স ফ্যাটের ঝুঁকি বাড়ছে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, উল্লেখিত খাবারের যেসব নমুনা সংগ্রহ করে যে পরীক্ষা হয়েছে, তার মধ্যে ৩.১৪ শতাংশ উপাদানে ২ শতাংশের বেশি ট্রান্স ফ্যাট রয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা, হাওড়া, বালি, ভাটপাড়া, আসানসোল, আলিপুর, পানিহাটি, দমদম, উলুবেড়িয়া, সিউড়ি, দুর্গাপুর, হুগলি, চূঁচুড়ার মতো ৩৫টি জায়গা থেকে ৪৬৮ টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। গোটা দেশ থেকে মোট ৬ হাজার ২৪৫টি খাবারের নমুনা সংগ্রহ করেছে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়া। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এই সংস্থা জানিয়েছে, আগামী ২০২২ সালের মধ্যে প্যাকেটজাত খাবার তথা সাধারণ খাবারের মাধ্যমে ট্রান্স ফ্যাটের ঝুঁকি ২ শতাংশের নীচে আনাটাই লক্ষ্য।