রাজ্য

পোস্তা উড়ালপুল ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত রাজ্যের

সালটা ২০১৬। সাতসকালেই কান্না–আর্তনাদ–স্বজন হারানোর বেদনা দেখেছিল কল্লোলিনী কলকাতা। চার বছর আগে পোস্তা ফ্লাইওভার ভেঙে পড়েছিল। আর তা নিয়ে চলেছিল দোষারোপের পালা। এটা বাম আমলে তৈরি বলে দায় ঝেড়ে ফেলতে চেয়েছিল শাসকদল। তারপর জল গড়িয়েছে অনেক। অবশেষে চার বছর পর বিবেকানন্দ উড়ালপুল বা পোস্তা ফ্লাইওভার ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। নবান্নে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে এক মাসের মধ্যে সেতু বিশেষজ্ঞ জি কে রায়নার নেতৃত্বে একটি টেকনিক্যাল কমিটি রাজ্য সরকারকে রিপোর্ট দিয়ে জানাবে সেতুর কতটা অংশ ভাঙতে হবে। পুরোটা ভাঙা হবে নাকি অর্ধেক। এছাড়া নতুন করে অ্যালাইনমেন্ট বদলও করা যেতে পারে। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব, পূর্ত সচিব, পুর সচিব এবং পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম–সহ অন্যান্যরা। প্রথমে ঠিক হয়েছিল এটা পুরোপুরি ভেঙে ফেলতে হবে। পরে ঠিক হল, অর্ধেক ভাঙলেই কাজ হবে। এখন ঠিক হল কতটা ভাঙা হবে তা ঠিক করে ভেঙে ফেলা হবে। এই প্রক্রিয়ায় কেটে গেল চার বছর। আজও মানুষ স্মৃতি হাতড়াতে যায় সেখানে।
দীর্ঘদিন ধরে খড়গপুর আইআইটি–সহ অন্য বিশেষজ্ঞরা কেউই পরিষ্কারভাবে ব্রিজের ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারকে জানাতে পারেনি। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু একচুলও কাজ এগোয়নি। শেষমেষ ব্রিজ ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্তই নিল রাজ্য। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ ভেঙে পড়ে বিবেকানন্দ উড়ালপুল বা পোস্তা ফ্লাইওভার। ওই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ২৬ জনের। তখনই ব্রিজের নকশা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।