অতিবর্ষণের জেরে বেহাল পরিস্থিতি উত্তরবঙ্গের। রাতভর বৃষ্টিপাতের জেরে জলমগ্ন জলপাইগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা। গত কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টিতে কার্যত নাজেহাল উত্তরবঙ্গ। বিপদ সঙ্কেতের ওপর দিয়ে বইছে তিস্তা। পিছিয়ে নেই জলঢাকাও। বিভিন্ন জায়গায় জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। তিস্তা সহ ডুয়ার্সের বিভিন্ন নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। নষ্ট হয়েছে চাষের জমি। নাজেহাল অবস্থা সাধারণ মানুষের। অন্যদিকে কোচবিহারে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মেঘলা আবহাওয়া। একটানা দুদিনের বৃষ্টিপাতের জেরে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত জলমগ্ন। মালদহতেও বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই শুরু হয়েছে বষ্টিপাত। জায়গায় জায়গায় জল জমে গিয়েছে। প্রতিবেশী দেশ ভুটানেও জল বাড়ায় জলঢাকা নদীর সংরক্ষিত অঞ্চলেও জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা। সেই পরিস্থিতিতে রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছেন উত্তরবঙ্গের বাসিন্দারা।
এই পরিস্থিতিতে আগামী 48 ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর আরো তিন দিন ভারী বৃষ্টি চলতে পারে উত্তরবঙ্গে। রবিবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার , জলপাইগুড়িতে অতিবৃষ্টির সর্তকতা। দার্জিলিং কালিম্পং সহ বাকি জেলাতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। দার্জিলিং কালিম্পং সহ পার্বত্য এলাকায় ধ্বস নামার আশঙ্কা। উত্তরবঙ্গের নদীর জল স্তর বাড়তে পারে। নিচু এলাকা প্লাবিত হয়ে শস্যের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। অতিবৃষ্টির কারণে দৃশ্যমানতা কমতে পারে উত্তরবঙ্গে।
উত্তরবঙ্গে অক্ষরেখা সক্রিয়। দক্ষিণ-পশ্চিম বাতাসে ভর করে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে উত্তরবঙ্গ উত্তর-পূর্ব ভারতে। এই কারণেই মৌসুমী বায়ুর ধীরগতি দক্ষিণবঙ্গের দিকে। তবে অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে আগামী দুই থেকে তিনদিনের মধ্যেই দক্ষিণ বঙ্গে আসবে বর্ষা।