বিহারের অনেক জেলায় অবিরাম বৃষ্টিতে নদীতে জলস্তর বেড়ে চলেছে। পাটনার হাতিদহে গঙ্গার জলস্তর বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। কিষাণগঞ্জ ও কাটিহারে মহানন্দা নদীর জলস্তর ক্রমাগত বাড়ছে বলেও জানা গিয়েছে। সুপল, দরভাঙ্গা ও মুজাফফরপুরের নিম্নাঞ্চল বন্যার কবলে পড়েছে। নদীর আশপাশের গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত বিহারে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাটনার হাতিদহে গঙ্গার জলস্তর বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। গান্ধী ঘাটের জলস্তরও বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছেছে। হাথিদহে জলস্তর ৪২ মিটারে পৌঁছেছে। এখানে বিপদ চিহ্ন ৪১.৭৬ মিটার।
ভাগলপুরের কাহালগাঁওতেও গঙ্গার জলস্তর বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। নেপাল ও বিহারে বৃষ্টির জেরে সুপলে কোশি নদীর জল বেড়ে গেছে। তিনটি মহকুমার ছটি ব্লকের তিন ডজনেরও বেশি গ্রামে বন্যার জল প্রবেশ করেছে। রাস্তাঘাট, মাঠ ও বাড়িতে বন্যার জল ঢুকে পড়েছে। প্রশাসনের তরফ থেকে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। কাটিহারে মহানন্দা নদীর জলস্তর ওঠানামার জন্য লক্ষনপুর পঞ্চায়েতের বেলগাছি গ্রামে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। দারভাঙ্গাতেও গত তিনদিনের বৃষ্টিতে কমলা নদীর জলস্তর বেড়েছে।