সৌদি আরবে এতদিন চালু ছিল মধ্যযুগীয় প্রথা। এতদিন এখানে শাস্তি স্বরূপ চাবুক মারার প্রথারও প্রচলন ছিল। এই প্রথাকেই সম্ভবত এবার বন্ধ করতে চলেছে সৌদি আরব। দেশের শীর্ষ আদালত থেকে এই তথ্যই মিলেছে। চাবুকের পরিবর্তে শাস্তি হবে কারাদণ্ড বা জরিমানা। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সূত্রে খবর, সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই চাবুক মারার প্রথা বিলোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সরকারিভাবে কিছু এখনও না জানালেও এপ্রিল মাসেই এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের জেনারেল কমিশন। চাবুক মারার শাস্তির বিষয়টি নিয়ে শেষবার বিশ্বব্যাপী আলোচনার জোয়ার উঠেছিল যখন ২০১৫ সালে ব্লগার রাইফ বাদাউইকে সাইবার অপরাধ এবং ইসলাম ধর্মকে অবমাননার দায়ে জনসমক্ষে চাবুক মারার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। রাইফ বাদাউইকে ১০ বছরের জেল এবং এক হাজার চাবুক মারার শাস্তি দেওয়া হয়। বাদাউইয়ের কারাদণ্ড চলাকালীন এক হাজার চাবুক প্রতি সপ্তাহে দফায় দফায় মারার কথা ছিল।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে তাকে ৫০ বার চাবুক মারাও হয়। কিন্তু ঘটনা সামনে আসতেই বিশ্বব্যাপী সৌদির বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় উঠে। সৌদিতে এখনও জারি বেশ কিছু মধ্যযুগীয় প্রথা। সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল চুরির শাস্তিতে হাত কেটে নেওয়া, খুন বা সন্ত্রাসবাদে মাথা কেটে ফেলা। এই নিষ্ঠুরতম শাস্তিগুলি এখনও বেআইনি ঘোষিত হয়নি। সৌদির মানবাধিকার কমিশনের প্রেসিডেন্ট আওয়াদ আলাওয়াদ বলেন, সে দেশের মানবাধিকার রক্ষা ক্ষেত্রে চাবুক মারা বন্ধ করা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
