করোনার এই কঠিন যুদ্ধের সময়ও ভূস্বর্গে অশান্তি অব্যাহত। ফের কুপওয়াড়া জেলায় নিরাপত্তারক্ষী এবং জঙ্গির মধ্যে গুলির লড়াই চলল। প্রাণ হারালেন একজন মেজর ও একজন কর্নেল। রাতভর গুলির লড়াইয়ে যৌথবাহিনীর পাঁচ জন নিহত হয়েছেন। সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন আরও দুই জওয়ান এবং একজন পুলিশকর্মী। শনিবার রাতে ওই গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছে দুই জঙ্গিও।
জানা গিয়েছে, জম্মু–কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগর থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে হান্দোয়ারা এলাকার চঙ্গিমূলা এলাকার একটি বাড়িতে জঙ্গিরা লুকিয়ে আছে বলে খবর মেলে। এই খবর মেলার পর জম্মু–কাশ্মীর পুলিশ এবং সেনার একটি যৌথবাহিনী সেখানে হানা দেয়। দীর্ঘক্ষণ জঙ্গি–নিরাপত্তারক্ষীর মধ্যে গুলির লড়াই চলার পর জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন এক পুলিশ, দুই সেনা–সহ এক কর্নেল এবং এক মেজর। পরপর গুলির লড়াইয়ে কেঁপে ওঠে উপত্যকার মাটি। ওই যৌথ অভিযানের সময় দুই জঙ্গি নিহত হয়।
উল্লেখ্য, গত কয়েক সপ্তাহে বারবার করোনা সংক্রমণের মধ্যেই রক্ত ঝরেছে উপত্যকায়। তার আগে কুলমাগে চার হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গিকে নিকেশ করেছিল নিরাপত্তারক্ষীরা। ফের এই ঘটনা। করোনা সংক্রমণের মাঝেই বারবার জম্মু–কাশ্মীরে নাশকতার ছক করে চলেছে জঙ্গিরা। তবে দুই জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে দাবি করা হলেও ওই বাড়িতে ঠিক কতজন জঙ্গি রয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এই ঘটনায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং লিখেছেন, ‘হান্দোয়ারায় সেনা এবং সুরক্ষাবাহিনীর সদস্যদের হারানোর ঘটনা খুবই বেদনাদায়ক। তাঁরা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অনুকরণীয় সাহস দেখিয়েছেন। দেশের সেবায় সর্বোচ্চ ত্যাগের নিদর্শন রেখেছেন। তাঁদের বীরত্ব এবং ত্যাগকে ভুলব না।’