রাজ্য

রাজীবকে সুরে ফেরাতে উদ্যোগী ফিরহাদ

লক্ষ্মীরতনের ছেড়ে দেওয়া, রাজীবের বেসুরো গাওয়া নিয়ে দলের অন্দরে অস্বস্তি চরমে। আর তাতেই হাওড়ায় তৃণমূলের ফাটল ক্রমশ চওড়া হচ্ছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের ভাঙন রোধে এখন মরিয়া ঘাসফুল শিবির। এখন হাওড়ার সংগঠন সামলানোর দায়িত্ব ফিরহাদ হাকিমের কাঁধে তুলে দিলেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দায়িত্ব পেয়ে প্রথমেই তিনি ফোন করলেন ‘বেসুরো’ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
প্রথমে টালিগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। যাঁরা তোষামোদ করতে পারেন তাঁরাই দলে ভাল পদ পেয়েছেন বলে বিতর্ক তৈরি করে দেন। তারপরেও এক সভায় শ্রীরামকৃষ্ণের বাণী উদ্ধৃত করে মন্তব্য করেছিলেন রাজীব। তখন রাজীবের মানভঞ্জন করার চেষ্টা করা হয়। দফায় দফায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা নস্যাৎ করে দেন। তা সত্ত্বেও একাধিক দলীয় বৈঠকে গরহাজির রাজীব। তার জন্যই জল্পনা রাজীবকে নিয়ে। এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে ফিরহাদের ফোন যায় রাজীবের কাছে। এখন দেখার সুরে ফেরেন কিনা রাজীব।
এদিকে বিধানসভা নির্বাচনের আগে হাওড়ায় তৃণমূলের সাংগঠনিক অবস্থা ভাল নয়। ‘বেসুরো’দের তালিকায় রাজীব নাম লিখিয়েছেন অনেকদিন আগেই। লক্ষ্মীরতন শুক্লা সদ্যই দল এবং মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন। বৈশালী ডালমিয়াও দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। এবার হাওড়ার দায়িত্ব ফিরহাদের কাঁধে তুলে দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানভঞ্জনের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে ফিরহাদ হাকিমকে বলে সূত্রের খবর।
তাই দায়িত্ব পেয়েই রাজীবকে ফোন করেন তিনি। বোঝানোর চেষ্টা করেন। ক্ষোভ প্রশমনে দরকারে সামনে বসে আলোচনাও হবে বলে জানান। এখনই বড় সিদ্ধান্ত না নেওয়ার অনুরোধও করেন ফিরহাদ। বনমন্ত্রীর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। জবাব পাওয়া যায়নি মেসেজেরও। ফিরহাদ কি এরকম পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবেন? উঠছে প্রশ্ন।
উল্লেখ্য, ফিরহাদ ছাড়াও বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে বিভিন্ন জেলা দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নদিয়া, জঙ্গলমহলের দায়িত্বে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সুব্রত বক্সিকে দেওয়া হয়েছে কোচবিহার এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের দায়িত্ব। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারের দায়িত্বে অরূপ বিশ্বাস। অনুব্রত মণ্ডলের কাঁধে রয়েছে বীরভূম। শুভাশিস চক্রবর্তী সামলাবেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার দায়িত্ব।