রাজ্য

নিভল আগুন, মৃত চার

শুক্রবার রাতে আগুন লাগে ২১ নম্বর গনেশ চন্দ্র অ্যাভিনিউয়ের আটতলার বহুতলে। মিটার বক্স থেকে শট সার্কিট থেকে আগুন লাগে বলে জানিয়েছে দমকল। কয়েক ঘন্টায় আগুন নেভেনি বলে জানাচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দারা। পাঁচতলা ওই বাড়িটির নীচতলায় আগুন লাগায় অনেকেই আটকে পড়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত দমকল কর্মীদের তত্‍‌পরতায় আগুনে আটকে পড়া সকলকে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। ভোররাতে তিনি জানান, আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। বাড়িটিতে আটকে পড়া প্রত্যেককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
মধ্যরাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। খবর পেয়ে ছুটে আসেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। আগুন নেভাতে ব্যবহার করা হয় স্কাই ল্যাডার। স্থানীয় বাসিন্দা, দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সহায়তায় আটকে পড়া বাসিন্দাদের উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এক কিশোরী ও এক বৃদ্ধা মারা গিয়েছেন। আগুন ছড়িয়ে পড়ায় ভয়ে চারতলা থেকে ঝাঁপ মারে ওই কিশোর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে, কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই কিশোর মারা যায়। ওই বহুতলের একটি শৌচালয় থেকে এক বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার করেছেন দমকল কর্মীরা। ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়েই বৃদ্ধা মারা গিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে তবে ৬ তলা থেকে ফের ধোঁয়া বের হওযায় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সকালে। ফের খবর দেওয়া হয়েছে দমকলকে। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পুরোপুরি পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ভেতরে কাউকেই যেতে দেওয়া হবে না। গতকাল থেকে রাস্তাতেই রয়েছেন এখানকার বাসিন্দারা। আগুন যে ভাবে বাড়ছিল, তাতে আশপাশের বাড়ি ও সংলগ্ন একটি বস্তিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল। কিন্তু, দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তত্‍পরতায় আগুন বাড়তে পারেনি।
কুলিং করার কাজ সারারাত ধরে চালিয়ে যায় দমকল। সকাল সাতটা পর্যন্ত চলে কুলিং করার কাজ। রাতেই কুকুর দিয়ে তল্লাশি চালানো হয় দমকলের পক্ষ থেকে। ঘটনাস্থল ঘিরে রয়েছে কলকাতা পুলিশের বিশাল বাহিনী। এখন ঘটনাস্থলে একটি ইঞ্জিন। দমকলের এক আধিকারিক জানান, ঘটনাস্থলে ভোররাত পর্যন্ত ২৫টি ইঞ্জিন আসে। এ ছাড়াও একটি হাইড্রোলিক ল্যাডার ছিল। এই ল্যাডার দিয়েই বাড়ির ভেতরে আটকে পড়া সকলকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।