রাজ্য

অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হল নারকেলডাঙা বস্তি

সোমবার ভোরে আগুন লাগল নারকেলডাঙার ছাগলপট্টি বস্তিতে। তার জেরে ভস্মীভূত হয়ে যায় প্রায় ৫০টি ঝুপড়ি। এদিন ভোর ৫টা নাগাদ আগুন লাগে বস্তিতে। আগুন লাগার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে চলে আসে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। তবে ততক্ষণে যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গিয়েছে। একাধিক জায়গা থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা গিয়েছে। তাতে ঝলসে গিয়েছে ট্রান্সফর্মারও।
এদিকে ভোরে হাওয়ার গতিবেগ বেশি থাকায় আগুন নেভাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদের। প্রায় দু’‌ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুও। আগুন লেগে ট্রান্সফর্মার ফেটে যায়। তাতেই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন। পঅনেকগুলি ঝুপড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। লকডাউনের জন্য অনেকেই চাল মজুত করে রেখেছিলেন। সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
অন্যদিকে নারকেলডাঙা বস্তির মাঝে আগুন লাগায় দু’‌দিকে আগুন ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। দমকল কর্মীদের তৎপরতায় তা রোখা গিয়েছে। কীভাবে আগুন লাগল, তা খতিয়ে দেখছেন দমকল কর্মীরা। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন। দমকলমন্ত্রীর কাছে ক্ষতিগ্রস্তরা হাতজোড় করে আবেদন জানান পাশে থাকার। সুজিত বসু জানান, জিনিসপত্র ভস্মীভূত হলেও কারও প্রাণহানি হয়নি।
উল্লেখ্য, জুন মাসে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল কলকাতা লাগোয়া চিনার পার্কের আটঘরা বস্তি। রান্নার উনুন থেকে আগুন লাগে। আর আগুন লাগতেই বাঁশ ও প্লাস্টিকের মতো দাহ্য পদার্থ দিয়ে তৈরি বস্তিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে কয়েক মিনিটে। তবে প্রশ্ন উঠছে, এই পরপর বস্তিতে আগুন লাগার নেপথ্যে কী অন্য কোনও কারণ রয়েছে?‌