রাজ্য

আগুনে ভস্মীভূত কালী প্রতিমা

তপসিয়ার পর এবার অগ্নিকাণ্ড খোদ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এলাকায়। কালীপুজোর ঠিক আগে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মূর্তি নিতে কালীঘাটের পটুয়াপাড়ার বিখ্যাত মৃৎশিল্পী রাজীব পালের বাড়িতে আনাগোনা শুরু হয়েছে পুজো উদ্যোক্তাদের। কিন্তু মূর্তি দেবে কে? এই প্রশ্ন ওঠার কারণ, মূর্তি তৈরির কাজ শেষে ভোররাতে ঘুমোতে যাওয়ার পরই আগুনের লেলিহান শিখায় অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন রাজীববাবু। আগুন গ্রাস করেছে তাঁর পিসিকে। ফলে এই পরিস্থিতিতে কুল–কিনারা পাচ্ছেন না পুজো কমিটির সদস্যরা।
আবার সিটি সেন্টার ২–এর কাছে চিনারপার্কের হোটেলে অগ্নিকাণ্ডে ছড়াল চাঞ্চল্য। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৩টি ইঞ্জিন। ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। কীভাবে আগুন লাগল তা এখনও স্পষ্ট নয়। সেখানে সিটি সেন্টার ২–এর কাছে রাজ হোটেলের একটি তলা হঠাৎ দাউদাউ করে জ্বলে উঠল। তৃতীয় ও চতুর্থ তল থেকে বেরিয়ে আসছে আগুনের ফুলকি। মুহূর্তে চারপাশে হইচই। প্রাণ বাঁচাতে বেরিয়ে আসেন অতিথিরা।
এদিকে কালীঘাটের পটুয়াপাড়ার রাজীব পাল বাবা গোবিন্দ পালের মৃত্যুর পর থেকে মূর্তি তৈরিই তাঁর পেশা এবং নেশা। সারা বছরই মূর্তি তৈরিতে ব্যস্ত থাকেন তিনি। তাই এলাকার সবাই তাঁকে নামে চেনে। এই বছর কালীপুজোয় ৫০টি প্রতিমার অর্ডার পেয়েছিলেন তিনি। বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করেন তিনি। কিন্তু ভয়াবহ আগুনে সব শেষ হয়ে গেল। আর অর্ধদগ্ধ রাজীববাবুকে উদ্ধার করে পাঠানো হয় হাসপাতালে।
পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে রাজীবের স্টুডিও। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রতিমাও। দমকল সূত্রে খবর, সম্ভবত গ্যাস লিকের কারণেই কালীপুজোর মুখে এহেন ভয়ংকর কাণ্ড। যদিও আগুনের নেপথ্যের কারণ নিয়ে এখনও নিশ্চিত নন কেউ। কালীপুজোর আগে ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা।