সবেমাত্র বাঙালির পাতে ইলিশ পড়েছিল। কিন্তু মনের আশ মেটেনি। কারণ আরও একটু খেতে হবে। তবে ভাগষের নির্মম পরিহাসে খারাপ খবর শুনতে হল। রবিবার সকালে দিঘা মোহনাতে বিধ্বংসী আগুন লাগল। আর তার জেরে মৎসজীবীদের ৯টি বালাঘর পুড়ে খাঁক হয়ে গেল। সেখানেই ছিল বিপুল পরিমাণ ইলিশ মাছ। যা পুড়ে গেল বাঙালির পাতে যাওয়ার আগেই।
এখন ভরসা পদ্মার ইলিশ। যদিও তার দাম নাগালের বাইরে। এদিন ভোররাতে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। কয়েকটি আড়ত পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। পুড়ে নষ্ট হয়েছে ২০ লক্ষ টাকার ইলিশ মাছ। যা কল্পনা করা যাচ্ছে না। এই বিপুল পরিমাণ মাছের ক্ষতি কিভাবে পূরণ হবে তা বুঝতে পারছে না মৎস্যজীবীরা। মনে করা হচ্ছে, এই কারণে যে ইলিশ পরবর্তী ক্ষেত্রে বাজারে আসবে তার দাম হবে আকা্শ ছোঁয়া। সুতরাং পদ্মা এবং বাংলার ইলিশ বাঙালির পাতে পড়বে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান সবপক্ষই।
এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চোখে জল এসেছে মৎস্যজীবীদের। থার্মোকল, মোবিল, মুদির দোকান, সেলুন গ্যাস, মাছের স্টোর–সহ বাজারের একাধিক দোকান পুড়েছে। আগুন লাগার উৎস এখনও জানা যায়নি। তবে দাহ্য পদার্থ বেশি থাকায় এই আগুন ছড়িয়ে পড়তে সময় নেয়নি। দমকল সূত্রে খবর, দুটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছে। আরও ইঞ্জিন আনা হচ্ছে। এখনও পরিস্থিতি আয়ত্তে আসেনি। তবে ঘটনার তদন্ত করে দেখা হবে।