স্বাস্থ্য

জেনে নিন কেমন হওয়া উচিত রাতের খাবার ?

কেমন হওয়া উচিত রাতের খাবার, তা নিয়ে অনেক কথাই প্রচলিত রয়েছে। কেউ বলেন, রাতে না খেয়ে শুতে যেতে নেই। আবার অনেকে বলেন, রাতের খাবারই আসল! তবে পুষ্টিবিদরা মনে করেন,রাতে কম ও হালকা খাবার গ্রহণ শরীরের জন্য উপকারী।

রাতে সাধারণত খাবার খাওয়ার পর সকলেই ঘুমাতে যান। ফলে শারীরিক পরিশ্রম হয় কম। তাই রাতে খাবার থেকে যে শক্তি তৈরি হয় তা জমা হয় শরীরে। ফলে শরীরের অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি হয়। তাই রাতে অপেক্ষাকৃত কম ও হালকা খাবার খাওয়া উচিত। খেয়াল রাখতে হবে রাতের খাবারে যেন কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাটজাতীয় খাবার বেশি না থাকে। তবে তালিকায় রাখতে হবে স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টি-সমৃদ্ধ খাবার।

সারাদিন কাজ করার কারণে প্রচুর পরিশ্রম হয়। তাই রাতে খাবারের তালিকায় রাখুন কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত ও উচ্চমাত্রার প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার। যেমন,ভাত বা রুটির সঙ্গে খাসির মাংস, ডাল, সব্জি। খাবার পর খেতে পারেন টকদই। তবে তাতে চিনি না মেশানো ভালো।

ভারী খাবারের পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর সবজি যেমন, ব্রোকলি, ফুলকপি, মরিচ, পালংশাক, টমেটো, গাজর, পেঁপে ইত্যাদি দিয়ে তৈরি পাস্তা বা নুডলস বানিয়ে খেতে পারেন। গাজর, পেঁয়াজ, শসা, টমেটো দিয়ে স্যালাড তৈরি করে নিতে পারেন। খেতে পারেন ঢেঁড়স, মিষ্টি আলু ও বাদামি চালের ভাতও। সঙ্গে যে কোনো ফলের রস খাওয়া যেতে পারে।

কিন্তু তাই বলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাতের খাবার বাদ দেওয়া চলবে না পরিমাণে কম হলেও অবশ্যই খেতে হবে রাতের খাবার। প্রতি রাতে খাবারে সবজির স্যুপ, রুটি, ডাল, মাছ ও টকদই রাখুন। রাতে ফল খেতে চাইলে খাবার শেষ করার আধঘণ্টা পরে খান। আর খাবার খাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট পর জল খাওয়া উচিত।