রাজ্য লিড নিউজ

আর্থিক দুর্নীতিতে সন্দীপের বিরুদ্ধে পাহাড় প্রমাণ অভিযোগ!

বিস্ফোরক তথ্য! আরজিকরের অ্যাকাডেমিক ফান্ডের টাকা কিভাবে চলে যায় সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারদের পকেটে। আর্থিক দুর্নীতি মামলায় এবার আলিপুর আদালতে দাবি করল সিবিআই।

রিপোর্টে কেন্দ্রীয় এজেন্সি জানিয়েছে, হাসপাতালের অ্যাকাডেমিক ফান্ডের টাকা দিয়ে মেটানো হত সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারদের বিল। সরকারি দফতরের স্ক্রুটিনি অগ্রাহ্য করেই চলত এই কারবার। এর আগে অ্যাকাডেমিক ফান্ডের অপব্যবহার নিয়ে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন আরজিকর হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। সন্দীপের বিরুদ্ধে এই একই অভিযোগে টালা থানায় দারস্থ হন আরও একজন। জানা গিয়েছে, সেসময় টালা থানা ক্লিনচিট দিয়েছিল সন্দীপ ঘোষকে।

পাশাপাশি, ডাক্তারি শিক্ষার তহবিল নয়ছয়ের অভিযোগও উঠেছে। অভিযোগ, পুরসভার বদলে হাসপাতালের কর্তারা পার্কিং থেকে টাকা আদায় করে তা সরিয়ে দেন। চুক্তির ভিত্তিতে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতি হয়েছে। এক স্বাস্থ্যকর্তার বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে চাহিদামতো রদবদলেরও অভিযোগ উঠেছে। বিক্রেতাদের কাছ থেকেও কুড়ি শতাংশ টাকা তোলা হত বলেও অভিযোগ উঠেছে।

উল্লেখ্য, করোনার সময়ে কোভিডের জন্য আসা রাজ্য সরকারের তহবিল থেকে আরামদায়ক চেয়ার, সোফা, ডাইনিং টেবিল, ফ্রিজ ও আরও অনেক কিছু কেনা হয়। সরকারি টাকায় কেনা বহু জিনিসও এমন নার্সিংহোমে যেত, যার আসল মালিক স্বাস্থ্যকর্তা। এমনকী, ভেন্ডারদের সাহায্যে এক স্বাস্থ্যকর্তার বাগানবাড়ি সাজানো হত ও তা না করলে তাঁরা হুমকির মুখে পড়তেন এমনও অভিযোগ উঠে এসেছে।

এখানেই শেষ নয়, একদিন অন্তর হাসপাতালের ব্যবহার হয়ে যাওয়া সিরিঞ্জ, স্যালাইনের বোতল, রবার গ্লাভস, হ্যান্ড গ্লাভস মিলিয়ে কয়েকশো বর্জ্য বের হতো। তাতেও নাকি দুর্নীতি করতেন সন্দীপ। একটা ব়্যাকেট বানিয়ে ফেলেছিলেন, তাতে যুক্ত ছিলেন দু’জন বাংলাদেশিও। এসব দুর্নীতির নথিই দ্রুত সংগ্রহ করতে চাইছে ইডি এবং সিবিআই।