রাজ্য লিড নিউজ

অবশেষে সুপ্রিম কোর্টে যোগ্য অযোগ্যের হিসাব দিল কমিশন

এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে কে যোগ্য এবং কে অযোগ্য তা বাছাই নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠেছিল। অবশেষে সুপ্রিম কোর্টে সেই হিসাব দিল স্কুল সার্ভিস কমিশন।
এর আগে গত ২৯ এপ্রিল এসএসসি মামলার শুনানিতেও যোগ্য-অযোগ্য বিভাজন সম্ভব কিনা তা জানতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তারপর গত ৩ মে এসএসসি জানায়, তারা সুপ্রিম কোর্টে যোগ্যদের পরিসংখ্যান দিতে পারবে।

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে এসএসসির আইনজীবী জানান, যোগ্য এবং অযোগ্যদের তালিকা আলাদা করা সম্ভব। ২৬ হাজার চাকরিহারাদের মধ্যে ১৯ হাজারে নিয়োগ বৈধ। আর সাত হাজার জনকে অবৈধভাবে নিয়োগ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার শুনানি শুরুর পর থেকেই রাজ্যকে প্রধান বিচারপতির বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। তারপরই এসএসসি জানায় যে তাদের কাছে ১৯ হাজার যোগ্য চাকরিপ্রাপকের তালিকা রয়েছে ! স্বাভাবিকভাবেই আদালত প্রশ্ন করে, কারা যোগ্য এবং কারা অযোগ্য, তাহলে এতদিন কেন বলতে পারেনি এসএসসি। সেক্ষেত্রে এসএসসির আইনজীবী জয়দীপ গুপ্ত বললেন,”চাকরি বাতিল আদালতের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। সুপ্রিম কোর্টের অনেক রায়েই এর আগে তা বলা হয়েছে।”

২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিলের বিরোধিতা করে কমিশন আদালতে সওয়াল করে, “আমরা শুধু অযোগ্যদের পৃথক করার কথা বলছি।” তবে যাঁরা পড়িয়েছেন এতদিন, তাঁরা কেন বেতনের টাকা ফেরত দেবেন, সে প্রশ্নও তোলে কমিশন।

এদিন শুনানিতে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা নিয়ে শীর্ষ আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য সরকার। রাজ্যের আইনজীবীকে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ২০১৬-র নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত শূন্যপদ কেন ২০২২ সালে তৈরি হল? সুপারনিউমেরিক পদ কেন তৈরি হয়েছিল? রাজ্যের ব্যাখ্যা, সুপারনিউমেরিক পদ বেআইনি নিয়োগ ঢাকতে তৈরি করা হয়নি। চাকরি বাতিলের ফলে ওয়েটিং লিস্ট থেকে নিয়োগ করার জন্যই সুপারনিউমেরিক পোস্ট তৈরি করা যেতে পারে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তার জন্যই ৬৮৬১ পদ তৈরি করা হয়েছিল। তবে এসএসসির পরীক্ষা সংক্রান্ত তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত জালিয়াতি করেছে বলে মত সুপ্রিম কোর্টের।