বিনোদন ব্রেকিং নিউজ

বর্ষীয়ান পরিচালক বাসু চট্টোপাধ্যায় প্রয়াত

চলে গেলেন কিংবদন্তি চিত্রপরিচালক এবং চিত্রনাট্যকার বাসু চট্টোপাধ্যায়। তাঁর মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে আইএফটিডিএ–এর পক্ষ থেকে। মৃত্যুর সময়ে বাসু চট্টোপাধ্যায়ের বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। বৃহস্পতিবার সকালে মুম্বইয়ের বাড়িতে মৃত্যু হয় তাঁর। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি। ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টিভি ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক পন্ডিত ট্যুইট করে বলেন, ‘আপনাদের সবাইকে খুবই দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি কিংবদন্তি পরিচালক বাসু চট্টোপাধ্যায় প্রয়াত। আজ তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে স্যান্টাক্রুজের শশ্মানে। ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের জন্যে এক অপূরণীয় ক্ষতি।’‌
পরিচালক মধুর ভণ্ডারকর টুইটারে লেখেন, ‘‌প্রবাদপ্রতিম পরিচালকের মৃত্যুতে গভীতভাবে আমি শোকাহত। তাঁর সুক্ষ্ম রসবোধ এবং সহজ করে ছবির গল্প বলার ক্ষমতা সারাজীবন মনে থাকবে।’‌ পরিচালক অশ্বিনী চৌধুরী লেখেন, ‘‌রেস্ট ইন পিস বাসুদা। পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইল।’‌ ১৯২৭ সালের ১০ জানুয়ারি আজমেঢ় শহরে জন্ম বাসু চট্টোপাধ্যায়ের। চলচ্চিত্র জগতে ঋষিকেশ মুখোপাধ্যায় এবং বাসু ভট্টাচার্য ঘরানার যোগ্য উত্তরসূরী ছিলেন বাসু চট্টোপাধ্যায়। মধ্যবিত্ত জীবনের প্রেক্ষাপটে মানুষের জীবনের সুখ–দুঃখ নিয়েই ছবি তৈরি করেছেন তিনি।
তাঁর পরিচালিত বিখ্যাত সিনেমাগুলি হল— ‘সারা আকাশ’, ‘পিয়া কে ঘর’, ‘রজনীগন্ধা’, ‘ছোটি সি বাত’, ‘চিতচোর’, ‘খাট্টা মিঠা’, ‘চক্রব্যুহ’, ‘বাতোঁ বাতোঁ মে’, ‘জিনা ইহা’, ‘আপনে পেয়ারে’, প্রিয়তমা, মন পসন্দ, শৌকিন, চামেলি কি শাদি, উস পার ইত্যাদি। তাঁর চিত্র পরিচালনার সূত্রে বলিউড পায় অমল পালেকরের মতো অভিনেতাকে।
দূরদর্শনে প্রচারিত জনপ্রিয় টিভি সিরিজ ‘ব্যোমকেশ বক্সী’ এবং ‘রজিনী’ তাঁরই পরিচালনা। ১৯৯২ সালে বাসু চট্টোপাধ্যায়ের ছবি ‘দুর্গা’ পরিবার কল্যাণ বিষয়ে সর্বশ্রেষ্ঠ ছবি হিসাবে পান জাতীয় পুরস্কার। শোকপ্রকাশ করে টুইট করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।