নেদারল্যান্ডস ও আর্জেন্টিনার পরে বিশ্বকাপের শেষ আটে পৌঁছে গেল ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড। রবিবার একদিকে ফ্রান্স ৩-১ গোলে হারাল পোল্যান্ডকে, অন্যদিকে ইংল্যান্ড আফ্রিকান সিংহ সেনেগাল কে ৩-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল।
রাউন্ড অফ সিক্সটিন এর দুটি খেলায় এদিন কার্যত এক হয়ে ওঠে। প্রথম খেলায় ফ্রান্সের শক্তিশালী ফরওয়ার্ড লাইনকে রুখতে কাল ঘাম ছুটে যায় পোল্যান্ড রক্ষণভাগের। ফ্রান্সের হয়ে প্রথম গোলটি করেন অলিভার জিরু। এই গোলটি করে ফ্রান্সের হয়ে সর্বকালের সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক গোল করার রেকর্ড তার দখলে আসে। ৩৬ বছরের ছ’ফুট চার ইঞ্চি দীর্ঘকায় স্ট্রাইকার জিরু প্রাক্তন ফরাসি স্ট্রাইকার থিয়েরি অঁরির ৫১ গোলের রেকর্ড ভেঙে দেন। যেদিন ফ্রান্সের হয়ে পরের দুটি গোল করে বিশ্বকাপের অপর রেকর্ডটি গড়েন কিলিয়ান এমবাপে। ২৩ বছর বয়সের মধ্যে ৯ টি গোল করে ফুটবল সম্রাট পেলের পূর্বতন রেকর্ড কে ভেঙে দেন এমবাপে।
এবারের বিশ্বকাপে চারটি ম্যাচ খেলে পাঁচটি গোল করে এমবাপে ইতিমধ্যেই নিজেকে করে তুলেছেন গোল্ডেন বুটের অন্যতম দাবিদার। পোল্যান্ডের হয়ে ম্যাচের সংযোজিত মুহূর্তে লেয়নডস্কি গোল করার আগেই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেন এমবাপে ও তাঁর সতীর্থরা। রবিবার রাতের ম্যাচেও ইংল্যান্ড সেনেগালের বিরুদ্ধে একাধিপত্য দেখায়। প্রথমার্ধেই ইংল্যান্ড এগিয়ে যায় ২-০ গোলে। জর্ডন হেন্ডারসন ও হারি কেন গোল করার পরে দ্বিতীয়ার্ধে সেনেগালের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন জাকা।
এদিন ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের দিক থেকে হেন্ডারসনই ছিলেন ম্যাচের নায়ক। ইংল্যান্ড এবারের বিশ্বকাপে ১২ টি গোল করে রাশিয়া বিশ্বকাপের তাদের সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড স্পর্শ করল। সেমিফাইনালে যাওয়ার যুদ্ধে শেষ আটে ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডের লড়াইয়ের দিকে নজর থাকবে বিশ্বের। ইউরোপের দুই প্রতিবেশী দেশই রয়েছে দুর্দান্ত ফর্মে। এখন দেখার এমবাপে নাকি হেন্ডারসন – কে বাজিমাত করেন!