মদ্যপানের বিরুদ্ধে যারা তাদের মাথায় পড়ুক বাজ। এবার এই মদ্যপান নিয়ে অশান্তির জেরে সংসারে পড়ল চরম বাজ। আর তার জেরে ছেলের হাতে খুন হলেন বাবা। রোজই মদ খেয়ে বাড়ি ফিরত ছেলে। তা নিয়ে অশান্তি লেগে থাকত। প্রত্যেকদিনের এই অশান্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন বাবা। তার জেরে বাবাকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার দক্ষিণ হিঙ্গলগঞ্জের মালোপাড়ায়। মৃতের নাম বাসুদেব হালদার (৬৪)।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই গ্রামের মহিলারা মুখে কাপড় ঢাকা দিয়ে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছেন। কেউ ভাবতেই পারছেন না মদ্যপানের বিরোধিতায় ছেলের হাতে বাবাকে খুন হতে হবে। ছেলে বিশ্বজিৎ এলাকায় বিশু নামেই পরিচিত। বিসেষ কিছু করত না সে। তবে সন্ধ্যে হলেই মদ প্রয়োজন হতো তার। মদ্যপান করার জন্য বাড়িতে টাকাও চাইত সে। তা নিয়ে কম অশান্তি হয়নি। কিন্তু শেষমেশ তা জোগাড় করতে না পারলেও বন্ধু জুটে যায় তার। তাদের সঙ্গে রোজ মদ্যপান করত সে। আর বাড়ি ফিরে চিৎকার চেঁচামিচি ভাঙচুর অশান্তি করত সে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বাবার নিষেধ সত্ত্বেও প্রায় মদ খেয়ে বাড়ি ফিরত ছেলে বিশ্বজিৎ। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতেও একই ঘটনা ঘটে। অশান্তির জেরে বাড়িতে কাক–চিল বসার জো ছিল না। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ বিশ্বজিৎ মদ খেয়ে বাড়িতে ঢোকে। তখন বাবা দরজা আটকালে ছেলের সঙ্গে তুমুল অশান্তি শুরু হয়। পরিস্থিতি এত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, ছেলে বাবাকে মারধর করতে শুরু করে। বাবাও প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে। অবশেষে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুন করে বিশ্বজিৎ। পুলিশ বিশ্বজিৎকে গ্রেপ্তার করেছে। আর ছেলের যেন ফাঁসি হয় পুলিশের কাছে এই আর্জি করলেন মা।