দেশ ব্রেকিং নিউজ

দেশজুড়ে ধর্ণার হুঁশিয়ারি কৃষকদের

অবশেষে সব রাস্তাই বন্ধ হয়ে গেল। কেন্দ্র–কৃষক সমাধান অধরাই রয়ে গেল। তাই কৃষি আইনের কিছু অংশে সংশোধনের প্রস্তাব খারিজ করে দিল আন্দোলনকারী কৃষকরা। সিংঘু সীমান্তে কৃষক নেতারা তাঁদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কৃষি আইন বাতিল করতেই হবে। তার জন্য বিক্ষোভ আন্দোলন আরও তীব্র হবে।
রফাসূত্র অধরা থাকায় এবং কেন্দ্র নিজের অবস্থানে অনড় থাকায় কৃষকদের হুঁশিয়ারি, দিল্লি–জয়পুর, দিল্লি–আগ্রা হাইওয়ে অবরোধ করা হবে। বয়কট করা হবে রিলায়েন্সের মল, টোল প্লাজাগুলির দখল নেওয়া হবে। আগামী ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে গোটা দেশেই ছড়িয়ে দেওয়া হবে কৃষক বিক্ষোভ। চলবে ধর্ণাও।
এদিকে বৈঠকের পর কৃষক নেতা ডা দর্শনপাল বলেন, ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা দিল্লি–জয়পুর হাইওয়ে অবরোধ করব। কারণ আমাদের ভাবাবেগ নিয়ে খেলা করা হচ্ছে। সব টোল–প্লাজায় ধর্ণা দেব। কৃষকদের বলেছি, সব বিজেপি বিধায়ক–সাংসদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে। এই পরিস্থিতি যদি তৈরি হয় গোটা দেশে আগুন জ্বলবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
অন্যদিকে, সরকারের বক্তব্য ছিল ফসলের ন্যুনতম সহায়ক মূল্য বজায় থাকবে। বিদ্যুৎ বিল নিয়ে তাদের যে আপত্তি রয়েছে তা আদালতে নিস্পত্তি করতে হবে। ফসল কেনার জন্য কোনও ঋণ দিতে পারবে না কর্পোরেট সংস্থাগুলি। কিষান মান্ডির বাইরে যারা কৃষকদের ফসল কিনবেন তাদের ওপর নজর রাখতে পারবে সরকার। এই বিষয়ে কৃষক নেতা প্রহ্লাদ সিং সংবাদমাধ্যমে জানান, সরকারের প্রস্তাবে নতুন কিছু নেই। কৃষকরা ৩ কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবে।