দেশ ব্রেকিং নিউজ

বুধবার বৈঠক, ভাঙচুর জিও

কৃষি আইন প্রত্যাহার–সহ নিশ্চয়তা দিতে হবে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যেরও। এই পরিস্থিতিতে বুধবার ৩০ ডিসেম্বর আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে কেন্দ্র। তারই মধ্যে কৃষি আইন বিরোধী বিক্ষোভের সরাসরি প্রভাব মুকেশ আম্বানির সাম্রাজ্যে। বিক্ষোভরত কৃষকরা পাঞ্জাবে অন্তত দেড় হাজার মোবাইল টাওয়ারে ভাঙচুর চালাল। তার মধ্যে ৯০০টি টাওয়ার রিলায়েন্স জিও’র। মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং জানান, কৃষকদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকে তিনি সমর্থন করেন। কিন্তু রাজ্যে হিংসা বরদাস্ত করা হবে না।
রিলায়েন্সের বিভিন্ন সামগ্রী এবং পরিষেবা বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভরত কৃষকরা। সেটা যে শুধুমাত্র মুখের কথা নয়, সেটাও দেখিয়ে দিলেন তাঁরা। জিও’‌র এক আধিকারিক জানান, রাজ্যে এই সংস্থার ৯ হাজার টাওয়ারের মধ্যে দেড় হাজার টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত। তার মধ্যে কোনও টাওয়ার পুরো ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, কয়েকটির জেনারেটর চুরি হয়ে গিয়েছে এবং কয়েকটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।
কৃষকরা জিও বয়কট করে ক্ষান্ত হননি। গত কয়েকদিন ধরে রিলায়েন্স তথা জিও’র বিভিন্ন সম্পত্তিও ধংস করার চেষ্টা চলছে। কখনও জিও’র স্টোরে ভাঙচুর, কখনও কেবল কেটে দেওয়া এবং সবশেষে টাওয়ারে গিয়ে ভাঙচুর। জিও’‌র এক আধিকারিকের দাবি, এখনও পর্যন্ত শুধু পাঞ্জাবে দেড় হাজার মোবাইল টাওয়ার অকেজো হয়ে গিয়েছে। যার জেরে বিঘ্নিত পরিষেবা। এই পরিস্থিতিতে দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে হবে বৈঠক। বুধবার দুপুর ২টোয়। সরকারের পক্ষ থেকে ওই বৈঠক হওয়ার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। কৃষক নেতাদের চিঠি দিয়ে জানান কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর।
জলন্ধরে জিও’‌র কেবল তারে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভরত কৃষকরা। জিও–তে কর্মরত লোকজনদের হুমকি দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পাঞ্জাবের কংগ্রেস সরকার এতদিন কৃষকদের এই আন্দোলনকে সমর্থন করে আসছে। সিংঘু সীমান্তে বৈঠক শেষে কৃষক নেতা দর্শন পাল বলেন, ‘‌আগামী ৩০ ডিসেম্বর কৃষি বিলের বিরুদ্ধে ট্র্যাক্টর র‌্যালি করবে কৃষকরা। এটি হবে কুন্ডলি— মানেশ্বর–পালওয়াল হাইওয়েতে। সবাইয়ের কাছে অনুরোধ, এই বছর নববর্ষ পালন করুন আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে।’‌