অচলাবস্থা কাটল না। সোমবার সপ্তম দফার বৈঠকের পরেও কেন্দ্র এবং কৃষকরা নিজেদের অবস্থানে অনড় রইলেন। দু’পক্ষই আবার ৮ জানুয়ারি বৈঠকে বসার ব্যাপারে একমত হয়েছে। তবে তাঁদের দাবি মানা না হলে ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন বিশাল সমাবেশ করার হুমকি দিয়েছেন কৃষকরা। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী বৈঠক শেষে জানিয়েছেন, ‘প্রতিটি আইন ধরে ধরে আলোচনা করা হবে। সরকার ওই তিন আইন সংশোধন করতে প্রস্তুত।’ কিন্তু কিষান মজদুর সংঘর্ষ মঞ্চের নেতা স্বরণ সিং পান্ধারের দাবি, কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী সাফ জানিয়েছেন, নয়া তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হবে না। প্রয়োজন কৃষকরা সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে।
জানা গিয়েছে, ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনগত গ্যারান্টি দেওয়ার যে দাবি কৃষকরা করছিলেন, এদিনের বৈঠকে সরকারপক্ষ সেই বিষয়ে আলোচনা করার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু কৃষক ইউনিয়নগুলির নেতারা কৃষি আইন প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা চান। ফলে অচলাবস্থা থেকেই যায়। আলোচনা নিয়ে অল ইন্ডিয়া কিষান সভায় সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা বলেন, ‘প্রবল চাপে রয়েছে কেন্দ্র। আমরা সবাই বলেছি কৃষি আইন প্রত্যাহারই আমাদের মূল দাবি। অন্য কোনও বিষয়ে আলোচনা করতে রাজি নই। যতক্ষণ না আইন প্রত্যাহার করা হবে ততক্ষণ আন্দোলন চলবে।’
আন্দোলনে যেসব কৃষক মারা গিয়েছেন, বৈঠক শুরু করার আগে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দু’মিনিট নীরবতা পালন করা হয় বলে কৃষি মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়। দিল্লির সীমানায় অবস্থানরত ৬০ জনেরও বেশি কৃষক প্রাণ হারিয়েছেন। এঁদের মধ্যে অনেকেই অত্যাধিক ঠান্ডা সহ্য করতে না পেরে মারা গিয়েছেন। ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের মুখপাত্র কৃষকনেতা রাকেশ টিকায়েত বলেন, ‘দিল্লি সীমানায় বিক্ষোভরত কৃষকদের মধ্যে প্রতি ১৬ ঘন্টায় একজন করে মারা যাচ্ছেন। যার জবাব দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের।’ কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর বলেন, ‘কৃষকরা আইন প্রত্যাহারের দাবিতে এখনও অনড় তাই কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনো গেল না।’