এবার চাপের কাছে খানিকটা বাপ বলল কেন্দ্রীয় সরকার। কারণ কৃষকদের আন্দোলনের চাপে কিছুটা হলেও নতিস্বীকার করতে রাজি হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাদের ইঙ্গিত, তিনটে বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার না করা হলেও কিছু ক্ষেত্রে সংশোধন করা হবে। যদিও আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে সরকারের আলোচনায় সমাধানসূত্র অধরাই রইল। দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে টানা ৭ ঘণ্টা আলোচনার ফল শূন্য। তবে সমস্যা মেটাতে পরবর্তী বৈঠক হবে আগামী ৫ ডিসেম্বর।
কৃষকরা কেন্দ্রের দাবি মানতে রাজি নয়। তাদের একটাই দাবি, তিনটে আইনই প্রত্যাহার করতে হবে। তবে তার মধ্যেই কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী কৃষকদের আশ্বাস দেন ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে হাত পড়বে না। আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুন। কিন্তু তাতেও চিড়ে ভেজেনি। কিন্তু শনিবারের বৈঠকে চূড়ান্ত সমাধানসূত্র মিলবে বলে কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর আশা প্রকাশ করেছেন। উলটো দিকে কৃষক নেতাদের দাবি, শনিবারই তিন আইন প্রত্যাহার নিয়ে সরকারকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।
সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী জানান, সরকারের কোনও ইগো নেই। কৃষি বিল নিয়ে আলোচনা চলবে। তবে কৃষি আইন বাতিলের দাবি মানা সম্ভব নয়। বৈঠকে কৃষক নেতাদের দাবি ছিল, সংসদে বিশেষ অধিবেশন ডেকে কৃষি আইন বাতিল করা হোক। বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে তিন কৃষি আইনের প্রয়োজনীয়তা কৃষক সংগঠনের নেতাদের সামনে তুলে ধরা হয়। তার আগেই সকালে কৃষক সংগঠনগুলি তিন আইন নিয়ে লিখিত ভাবে তাদের আপত্তি সরকারকে জানিয়েছিল। বৈঠকে সরকারের তরফে অনেকক্ষণ ধরে বোঝানোর পরেও কৃষক সংগঠনগুলি তাদের আপত্তিতে অনড় থাকে।
দুপুরে আলোচনার বিরতির সময়ে সরকারের দেওয়া খাবার খেতে অস্বীকার করলেন কৃষকরা। পরিবর্তে একটি বিশেষ গাড়িতে আনা খাবারই খেলেন কৃষক নেতারা। সংবাদমাধ্যমে তাঁরা জানান, সরকারের দেওয়া চা কিংবা খাবার কোনও কিছুই আমরা নিচ্ছি না। আমার নিজেদের খাবার সঙ্গে এনেছি। চুক্তি চাষের ক্ষেত্রে কর্পোরেট সংস্থার সঙ্গে চাষিদের বিবাদ হলে, মহকুমা শাসক পর্যন্ত নালিশ জানানোর ব্যবস্থা রয়েছে কৃষি আইনে। চাষিরা আদালতে যাওয়ারও ক্ষমতা চেয়েছেন। এক্ষেত্রেও আইনে সংশোধনের ইঙ্গিত দিয়েছেন তোমর। কেন্দ্রের ওপরে চাপ বাড়াচ্ছে পাঞ্জাব। কৃষক আন্দোলেন নিয়ে সরকারের উদাসীনতার প্রতিবাদে পদ্মভূষণ ফিরিয়ে দিলেন পঞ্জাবের পাঁচবারের মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিং বাদল।