কদিন ধরেই বাঁকুড়া জেলা জুড়ে চলছে টানা বৃষ্টি। দফায় দফায় বৃষ্টির কারণে মাঠে জল জমে বাঁকুড়ার মেজিয়া ব্লকের সোনাইচন্ডিপুর গ্রামের প্রায় কয়েক’শ একর জমির বাদাম নষ্ট হওয়ার মুখে । জমা জলে পচতে শুরু করেছে বাদাম। তড়িঘড়ি করে মাঠ থেকে তা তুলে নেওয়ার চেষ্টা করছেন চাষিরা। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বেশিরভাগই মহাজনের কাছে ঋণ নিয়ে চাষ করেছিলেন সে ক্ষেত্রে ঋণের টাকা কিভাবে শোধ করবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে কৃষকদের।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শস্য বীমা আওতায় তারা অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে না বলে জানান এক কৃষক নারায়ন বিশ্বাস। কেননা তাদের এই চাষের জমিগুলি পাট্টা আকারে তারা পেয়েছেন । কিন্তু উপযুক্ত কাগজপত্র এখনো তাদের হাতে পৌঁছায়নি ।
ক্ষতিগ্রস্ত এক চাষী সুফল বিশ্বাস বলেন,”গত ফাল্গুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে ১৬,০০০ টাকা কুইন্টাল অর্থাৎ ১৬০ টাকা কেজি দরে বীজ কিনে এই বাদাম লাগিয়েছিলাম। প্রতি এক বিঘে জমি চাষ করতে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচা হয়েছে আমাদের। এখন সবটাই জলের তলে চলে গেছে।” অন্য এক চাষী হীরেন্দ্রনাথ তালুকদার বলেন,”এই এলাকার প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল । কদিনের টানা বৃষ্টিতে আমাদের প্রাণান্তকর অবস্থা।” কদিনের ব্যাপক বৃষ্টিতে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন তারা। আগামী দিনগুলোতে কিভাবে সংসার চালাবেন তা ভেবেই মাথায় হাত।
অন্যদিকে এবিষয়ে মেজিয়া ব্লক কৃষি আধিকারিক শুভেন্দু ঘোষ বলেন,”চাষিরা বাদাম চাষের ক্ষতির সম্পর্কে যে বিবৃতি দিয়েছেন তা পর্যবেক্ষণ করে একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরী করে জেলা কৃষি দফতরে পাঠানো হবে । তাদের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।”
বিশেষ সংবাদদাতাঃ মলয় সিংহ,বাঁকুড়া