মোদী বিরোধী আন্দোলনের ন’মাস পূর্তিতে বড় কর্মসূচির পরিকল্পনা নিচ্ছেন কৃষকরা। দিল্লি–হরিয়ানার সিংঘু সীমানায় এই প্রথম হতে চলেছে কৃষকদের জাতীয় সমাবেশ। ওই ন্যাশনাল কনভেনশনে যোগ দিতে চলেছেন কয়েকশো বিক্ষোভকারী কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। সারা ভারত কিষান সভার সাধারণ সম্পাদক তথা সংযুক্ত কিষান মোর্চার শীর্ষ নেতা হান্নান মোল্লা জানান, প্রথমে নয়াদিল্লির মধ্যে কোথাও ন্যাশনাল কনভেনশন আয়োজনের চিন্তাভাবনা করা হয়েছিল। পরে স্থির হয় যে, যেখান থেকে কৃষক আন্দোলনের শুরু, সেই সিংঘু সীমানাতেই সর্বভারতীয় সমাবেশ করবেন কৃষকরা।
কেন্দ্রের তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকদের আন্দোলনের ন’মাস পূর্ণ হবে আগামী ২৬ আগস্ট। এদিন সংযুক্ত কিষান মোর্চার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ২৬ এবং ২৭ আগস্ট দু’দিনব্যাপী চলবে কৃষকদের সর্বভারতীয় সমাবেশ। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই আন্দোলনরত কৃষকরা ‘মিশন উত্তরপ্রদেশ’ কর্মসূচির ঘোষণা করেছেন। উত্তরপ্রদেশের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে একটিও ভোট নয়, মূলত একে লক্ষ্য করেই কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে।
আগামী ৫ সেপ্টেম্বর পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগরে কৃষকদের মহাপঞ্চায়েত দিয়েই উল্লিখিত কর্মসূচির সূচনা হবে। আগামী সপ্তাহের দু’দিনব্যাপী ন্যাশনাল কনভেনশনকে মূলত তারই প্রস্তুতি সমাবেশ হিসেবে দেখতে চাইছেন কৃষকরা। যার জেরে প্রবল চাপে পড়ে গিয়েছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। সংযুক্ত কিষান মোর্চা হুঁশিয়ারি দিয়েছে, কৃষক বিরোধী অবস্থান নিলে বিজেপি এবং তার সহযোগী দলগুলিকে প্রবল বিক্ষোভের সম্মুখীন হতে হবে।
পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশের পর এবার উত্তরাখণ্ডেও বিজেপি নেতারা বিক্ষোভকারী কৃষকদের বয়কটের মুখে পড়ছেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। মোর্চার দাবি, উত্তরাখণ্ডে নির্বাচনী প্রচারে বিজেপি সাংসদ অজয় ভাটকে কালো পতাকা দেখিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন কৃষকরা। আন্দোলনরতদের হুঁশিয়ারি, যেখানেই বিজেপির নেতা-মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়করা জনসমাবেশ করবেন, সেখানেই তাঁদের এরকম কৃষক বিক্ষোভের জন্য তৈরি থাকতে হবে।