শনিবার দুপুরে দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে ফের বসতে চলেছে কেন্দ্র–কৃষক বৈঠক। তার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে গিয়ে বৈঠকে বসলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর।
কৃষকদের দাবি মেনে আইনে কী কী সংশোধন আনা যায়, তা নিয়েই জরুরি আলোচনা করতে বসেছেন তাঁরা। আপসহীন দাবিতে অনড় কৃষকরা। পরিবর্তন আনতে হবে আইনে। কেন্দ্রের সঙ্গে চতুর্থ দফা বৈঠকের পরেও কোনও ইতিবাচক সূত্র মেলেনি। শনিবার ফের কেন্দ্র–কৃষকের পঞ্চম দফার বৈঠক। সেখানে যাতে এই আন্দোলনের ইতি টানা যায় তারই নীল নকশা তৈরি করা হচ্ছে বলে খবর।
উল্লেখ্য, গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে দিল্লিতে কৃষকদের বিক্ষোভের চেহারাটা খুব একটা বদলায়নি। বরং যতদিন গড়াচ্ছে ততই বিক্ষোভের সুর চড়া হচ্ছে। সিংঘু, টিকরি–সহ বিভিন্ন এলাকায় কৃষকদের বিক্ষোভ অবস্থান চলছেই। আইন পরিবর্তন না হলে কেন্দ্র–বিরোধী আন্দোলন আরও জোরদার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
এই কেন্দ্র–কৃষক বৈঠকে আগে ৮ ডিসেম্বর বাংলা বনধ ডাকা হয়েছে। এদিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এইচএস লাখোয়াল সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘কৃষি আইন সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করতে হবে বলে গতকালই কেন্দ্রকে জানিয়ে দিয়েছিলাম আমরা। ৫ ডিসেম্বর দেশজুড়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর কুশপুত্তলিকা দাহ করব আমরা।’ আজ ১০ দিনে পড়ল কৃষক আন্দোলন। দেশের সমস্ত রাজ্যের কৃষকদের দিল্লি চলো অভিযানে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।