দেশ লিড নিউজ

কৃষি–আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আত্মহত্যা কৃষকের

বারবার বৈঠক হচ্ছে নিষ্ফলা। কেন্দ্রীয় সরকার নিজের অবস্থানে অনড়। কৃষকরাও একচুল ছাড়তে নারাজ। এই পরিস্থিতিতে বিতর্কিত কৃষি আইনের প্রতিবাদে দিল্লিতে আন্দোলন আরও জোরদার করেছেন কৃষকরা। ভেস্তে গিয়েছে অষ্টম দফার বৈঠকও। ১৫ জানুয়ারির পর ফের নবম দফায় বৈঠকে বসবে কেন্দ্র এবং আন্দোলনরত কৃষকদের সংগঠন। এই পরিস্থিতিতে সিংঘু সীমান্তেরে আবারও আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন এক কৃষক। আত্মঘাতী ওই কৃষকদের নাম অমরিন্দর সিং। পুলিশ সূত্রে খবর, বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন ৪০ বছর বয়সের ওই কৃষক।
জানা গিয়েছে, বিষাক্ত কোনও কিছু খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অমরিন্দর। এরপর গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন অন্যান্য আন্দোলনরত কৃষকরা। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনা প্রসঙ্গে আন্দোলনরত কৃষকরা জানিয়েছেন, আগেই আত্মহত্যার ইঙ্গিত মিলেছিল অমরিন্দরের কথায়। তিনি নাকি ঘনিষ্ঠদের কাছে বলেছিলেন, সরকার বিতর্কিত কৃষি আইন ফেরত না নিলে এবং এমএসপি’‌র মূল্য দেওয়ার ব্যাপারে গ্যারান্টি না দিলে আত্মহত্যা ছাড়া তাঁর কাছে কোনও রাস্তা নেই।
উল্লেখ্য, এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হরিয়ানা পুলিশ। ঘটনার নেপথ্যে কী কারণ তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আদৌ এর সঙ্গে আন্দোলনের যোগ আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হবে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। আপাতত মৃত কৃষকের দেহের ময়নাতদন্ত হবে। তারপরই তা তুলে দেওয়া হবে তাঁর পরিবারের হাতে। গাজিপুর সীমান্তে চলতি মাসেই আত্মহত্যা করেছিলেন আর এক কৃষক। তাঁর নাম কাশ্মীর সিং। এর আগে পাঞ্জাবের জালালাবাদের এক আইনজীবী টিকরি সীমান্তে আত্মহত্যা করেন। তখন সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছিল পুলিশ। যেখানে লেখা ছিল—‘কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে জীবন ত্যাগ করলাম।’ গত বছর ২৬ নভেম্বর থেকে কেন্দ্রের তিন বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লি সীমান্তে আন্দোলনে বসেন কৃষকরা। ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবসে ট্র্যাক্টর নিয়ে দিল্লিতে প্যারেড করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন কৃষকরা।