নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন আরও জোরদার করা হয়েছে। সোমবার দিল্লি–সহ বিভিন্ন জায়গায় সকাল ৮টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত অনশন করেছেন আন্দোলনরত কৃষকরা। এমনকী দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। কৃষকরা তাদের দাবিতে অনড়। এই আইন প্রত্যাহার করতে হবেই। যদিও তা পুরোপুরি খারিজ করে দিয়েছে কেন্দ্র। এদিন দিল্লি–জয়পুর হাইওয়েতে বেড়েছে কৃষকদের জমায়েত। টানা ১৭ দিন ধরে গাজিপুর সীমান্তে আন্দোলন চালাচ্ছেন কৃষকরা।
নয়া আইন কোনওভাবেই বাতিল হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। কৃষক আন্দোলনের মধ্যে সোমবার দুপুরে ফের একবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন তোমর। সেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি। কৃষকদের কাছে আমাদের বার্তাও গিয়েছে। কিন্তু এই নয়া আইন প্রত্যাহার করা হবে না।’
তাঁর কথায়, কৃষক আন্দোলনে চাষিরা নয়, মোদী বিরোধীরা যোগ দিয়েছেন। এরপরই নিজেদের পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে আজ বিকেল ৫টায় গাজিপুর সীমানায় বৈঠকে বসছেন কৃষকরা। সিঙ্ঘু সীমানায় বৈঠক মঙ্গলবার। এই পরিস্থিতিতে কেজরিওয়ালের অনশনকে ভন্ডামি বলে কটাক্ষ করেছিলেন প্রকাশ জাভড়েকর। কৃষক বিক্ষোভের পুরোভাগে টুকরে–টুকরে গ্যাং বলে মন্তব্য করেন বিজেপি’র সাধারণ সম্পাদক অরুন সিংয়ের। কৃষকদের পাশে থাকতে আমজনতাক অনশনের আর্জি কেজরিওয়ালের।
কৃষি বিলের স্বপক্ষে আসরে নেমেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও। তিনি দাবি করলেন, কৃষকদের সবরকম স্বার্থের কথা রেখে কৃষিক্ষেত্রে নয়া সংস্কার করা হয়েছে। কৃষক ভাইদের কথা শোনার জন্য সর্বদা প্রস্তুত। আমাদের কৃষিক্ষেত্রে কখনও কোনও অনগ্রসরমূলক পদক্ষেপ করার প্রশ্নই ওঠে না। ভারতীয় কৃষকদের সবরকম স্বার্থের কথা মাথায় রেখে নয়া সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।