দেশ ব্রেকিং নিউজ

কৃষকদের মন পেতে বাত মোদীর

সংসদে সদ্য পাশ হওয়া কৃষি বিলকে স্বাগত জানিয়ে কৃষকের হাতে বাড়তি ক্ষমতা তুলে দেওয়ার দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। রবিবার মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এভাবেই কৃষকদের মান ভাঙাতে চাইলেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। আসলে কৃষকদের ক্ষেপিয়ে দিয়ে সরকার চালানো বেশ কঠিন বলেই তিনি বুঝতে পারছেন। কারণ গোটা দেশের কৃষক ক্ষেপে গিয়ে ভারত বন্‌ধ থেকে লাগাতার প্রতিবাদে নেমেছেন।
এই পরিস্থিতিতে কৃষকদের মন পেতে রবিবার তিনি ফের জোর গলায় দাবি করেন, দেশের কৃষকরা এখন তাঁদের স্বইচ্ছার মালিক। এখন থেকে যেখানে ইচ্ছা সেখানেই কৃষকরা তাঁদের ফসল বিক্রি করতে পারবেন। তাতে তাঁদের আয় বাড়বে। ইতিমধ্যেই তাঁর মন্ত্রিসভার জোট শরিক শিরোমণি অকালি দল জোট ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছে। শিবসেনাও পাশে নেই। তেলগু দেশম পার্টি আগেই সঙ্গ ত্যাগ করেছে। তাই এবার যদি দেশের কৃষকরাও ছেড়ে চলে যায় তাহলে সরকার টিকিয়ে রাখা কঠিন। তাই কৃষকদের মন পেতে বারবার তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন তিনি কৃষকদের বার্তা দেন, কৃষকেরা আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তুলতে মূল ভূমিকা পালন করছেন।যিনি নিজেকে মাটির কাছাকাছি রাখেন, তিনি সব থেকে বড় ঝড়ের সময়ও দৃঢ়তা দেখাতে পারেন। ভারতের পরিশ্রমী কৃষকদের ক্ষমতায়ন চলছে। নিজের ফল–সবজি যে কোনও জায়গায়, যে কোনও ব্যক্তিকে তাঁদের বিক্রি করার ক্ষমতা রয়েছে। তাঁদের প্রগতির মূল চাবিকাঠি এখানেই। এখন এই ক্ষমতাই দেশের অন্যান্য কৃষকদের হাতেও এসেছে। শুধু ফল–সবজি নিয়েই নয়, নিজের খেতে তাঁরা যাই উৎপাদন করুন না কেন, তা তাঁদের বিক্রি করার স্বাধীনতা মিলে গিয়েছে।
মহাত্মা গান্ধীর প্রসঙ্গ টেনে কংগ্রেসের নাম না করে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘‌মহাত্মা গান্ধীর দেখানো আর্থিক দর্শনের পথে দেশ যদি চলত, তাহলে আত্মনির্ভর ভারতের স্বপ্ন অনেক আগেই সফল হয়ে যেত। প্রযুক্তির বৃহত্তর ব্যবহারের সঙ্গে কৃষিক্ষেত্র ব্যাপকভাবে লাভবান হবে। আত্মস্বার্থ না দেখে ভগৎ সিং দেশের জন্য প্রাণ উৎসর্গ করেন। এই বিল পাশ হয়ে যাওয়ায় আমাদের কৃষকরা ভবিষ্যত্‍‌মুখী প্রযুক্তিকে সহজেই ব্যবহার করতে পারবে। এতে তাঁদের উত্‍‌পাদনও কয়েক গুণ বেড়ে যাবে।