হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগে বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করে নিজের ৭৩ জন অনুগামীকে ক্ষমা করে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফলে ক্ষমতা হস্তান্তরের পরেও এই ৭৩ জনের বিরুদ্ধে কোনওরকম আইনি পদক্ষেপ করতে পারবে না জো বিডেন প্রশাসন। বিদায়ী বক্তব্যেও নিলেন না তাঁর পরবর্তী শাসকের নাম। শেষবেলাতেও ডোনাল্ড ট্রাম্প রয়ে গেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পেই। ফেয়ারওয়েল স্পিচে নতুন প্রেসিডেন্টের শাসনকালের জন্য অবশেষে শুভকামনা জানালেন তিনি। আর বাবার হোয়াইট হাউস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার লগ্নেই নতুন সম্পর্কে ঢোকার কথা ট্রাম্প–কন্যার মুখে।
নিজের অনুগামীদের সব অপরাধ ক্ষমা করলেও, নিজেকে এবং নিজের পরিবারের কোনও সদস্যকে ক্ষমা করেননি ট্রাম্প। প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে ধরাশায়ী হলেও ক্ষমতা হস্তান্তর না হওয়া পর্যন্ত ট্রাম্পের হাতে রয়েছ ‘পাওয়ার অফ ক্লিমেনসি’। অর্থাৎ কারও সাজা মাফ করে দেওয়ার বিশেষ ক্ষমতা। আর তার ফলেই ক্ষমা প্রার্থনার হিড়িক পড়েছে হোয়াইট হাউসের দরবারে।
তিনি থাকছেন না জো বিডেনের শপথ অনুষ্ঠানে। রীতি ভেঙেই ট্রাম্প বুধবারই উড়ে যাচ্ছেন ফ্লোরিডা। তাঁর উপস্থিতি ছাড়াই হোয়াইট হাউসে হবে ক্ষমতার হস্তান্তর। শ্রোতার উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত ভাষণে ট্রাম্প জানান, এই সপ্তাহে আমরা এক নতুন প্রশাসন শুরু করতে চলেছি। তার সাফল্য কামনা করুন। আমেরিকাকে নিরাপদ ও উন্নতিশীল রাখুন। আমরা বিপুল শুভেচ্ছা জানাচ্ছি নবাগত প্রশাসনকে। ভাগ্য তাদের সহায় হোক।
হোয়াইট হাউসের শীর্ষকর্তারা ট্রাম্পকে জানিয়েছেন, বিশেষ ক্ষমতা বলে নিজেকে ক্ষমা করার অর্থ নিজের অপরাধ কবুল করা। যা বিদায়ী প্রেসিডেন্টের ভাবমূর্তিতে আঘাত করতে পারে। সেকারণেই শেষ মুহূর্তে এই পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকলেন ট্রাম্প। এর অর্থ, বিডেন প্রশাসন চাইলেই ক্ষমতা হস্তান্তরের পর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগের তদন্ত শুরু করতে পারবে।