রাজ্য

সংগ্রহশালা থেকে সরলো জাল চিঠি

অবশেষে ভুয়ো চিঠি সরিয়ে নিল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। আইসিএসের চাকরি থেকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর পদত্যাগের ‘জাল’ চিঠি সরিয়ে নিল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল কর্তৃপক্ষ। তার জন্য অবশ্য চিঠি দিয়ে জানাতে হয়েছে বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ, নেতাজির নাতি ড. সুগত বসুকে। সেই চিঠির দৌলতে সম্বিত ফিরল কর্তৃপক্ষের। গত সপ্তাহেই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের কিউরেটরকে চিঠি পাঠিয়ে নেতাজির ‘জাল’ চিঠি সংক্রান্ত ভুলটি ধরিয়ে দেন সুগত বসু। অবশেষে তা সরানো হল।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি নেতাজির জাল চিঠি নিয়ে শুরু হয় বিড়ম্বনা। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলে আইসিএস থেকে নেতাজির ইস্তফার যে চিঠিটি প্রদর্শিত হচ্ছিল, সেটি ভুল। অভিযোগ ওঠে এই চিঠির হাতের লেখা নেতাজির নয়, এমনকী চিঠিতে বানান ভুল। ১৯২১ সালের ২২ এপ্রিল সিভিল সার্ভিসেসের চাকরি থেকে পদত্যাগ করেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। সেই সংক্রান্ত যে চিঠিটি ভিক্টোরিয়ার নেতাজি সংগ্রহশালায় স্থান পেয়েছিল, সেটি আদ্যন্ত ভুল বলে দাবি করেন নেতাজির নাতি সুগত বসু। আর তাতেই তোলপাড় হয়ে যায় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল।
ইতিহাসবিদ সুগত বসু (নেতাজি রিসার্চ ব্যুরোর চেয়ারম্যান)ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের কিউরেটর জয়ন্ত সেনগুপ্তকে একটি চিঠি দেন। সেখানে তিনি লেখেন, ওই জাল চিঠিটি অবিলম্বে সরিয়ে নেওয়ার জন্য। ক্ষুব্ধ সুগতবাবু তাঁর চিঠিতে এও জানান যে, নেতাজির লেখা আসল চিঠিটি লন্ডনের ভারতীয় অফিসে সংগৃহীত। সেটা সেখানেই রাখা আছে। ভিক্টোরিয়ায় প্রদর্শিত চিঠিটির হাতের লেখা নেতাজির নয়। সুগত বসু ভিক্টোরিয়া কর্তৃপক্ষকে পাঠানো চিঠিতে আরও জানান, তাঁর মা, নেতাজির ভ্রাতুষ্পুত্র কৃষ্ণা বসুর ‘ইতিহাসের সন্ধানে’ বইয়ে আসল চিঠিটি ছাপানো আছে।
এই ঘটনার পরেই তৎপর হয়ে ওঠে ভিক্টোরিয়া প্রশাসন। সুগতবাবুকে চিঠি দিয়ে আশ্বস্ত করে বলা হয় যে, তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই ভিক্টোরিয়া সংগ্রহশালা থেকে সরিয়ে নেওয়া হল ‘বিতর্কিত’ চিঠিটি। কিন্তু কেন এমন ঘটল?‌ এই চিঠির উৎস কী?‌ কোথা থেকে এই চিঠি পেল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল?‌ তা অবশ্য তারা জানাননি।