দিল্লি বিধানসভার শান্তি এবং সম্প্রীতি কমিটির বৈঠক প্রত্যাখ্যান করল ফেসবুকের কর্তাব্যক্তিরা। পরিবর্তে তাঁরা জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই তাঁরা সংসদীয় প্যানেলের সামনে উপস্থিত হয়েছেন এবং এটা এখন কেন্দ্রীয় সরকারের বিষয়। এই ঘটনায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বলা যেতে পারে, এটা সরাসরি অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকারকে অপমান করা হল।
এই ঘটনায় দিল্লি প্যানেল অবাক হয়ে গিয়েছে। আর তাঁরা ফেসবুক–কে চূড়ান্ত সতর্ক করেছে।এদিন ফেসবুকের লিখিত বার্তা পড়ে শোনানো হয় দিল্লি বিধানসভার শান্তি এবং সম্প্রীতি কমিটির বৈঠকে। সেই চিঠিতেই তাঁরা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, সংসদীয় কমিটির সামনে একমাস আগেই সব জানানো হয়েছে। ফলে দিল্লি বিধানসভা কমিটির সমন প্রত্যাহার করা হোক।
এই চিঠিতে সরাসরি ফেসবুক বুঝিয়ে দিল তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম–বিধি মেনে চলতে বদ্ধপরিকর। আর জবাবদিহির ক্ষেত্রেও তাই। এখানে দিল্লির সরকারের নাক গলানো উচিত নয়। এই কমিটির মাথায় রয়েছেন আম আদমি পার্টির বিধায়ক রাঘব চাড্ডা। তিনি চিঠিটি পড়ে জোর ধাক্কা খেয়েছেন। তাই কমিটির বাকি সদস্যরা এই চিঠিকে অপমানজনক এবং অবমাননাকর বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন।
দিল্লি দাঙ্গার সঙ্গে ফেসবুক জড়িত বলে মনে করে এই বিধানসভা কমিটি। কিন্তু ফেসবুক তার জবাব দিতে নারাজ। এই বিষয়েই ফেসবুক কর্তা অজিত মোহনকে হাজির হতে বলা হয়েছিল। যা প্রত্যাখ্যান করে ফেসবুক। এই প্রত্যাখ্যান আসলে দিল্লি দাঙ্গার সঙ্গে ফেসবুক জড়িত ছিল প্রমাণ করে বলে জানিয়েছে বিধানসভার কমিটি। তাই ঠিক হয়েছে, আবার নতুন করে ফেসবুককে সমন পাঠানো হবে স্বাভাবিক বিচারের নীতিতে।