আগেই প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করেছে টুইটার। ফেসবুকও একই পথে হেঁটে ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করল ট্রাম্পকে। গত ৬ জানুয়ারি আমেরিকায় ক্যাপিটল হামলার সময় বিক্ষোভকারীদের পক্ষ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। উস্কানিমূলক ওই মন্তব্যের জেরেই টানা দু’বছরের জন্য ফেসবুক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল।
২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের কাছে বড় ব্যবধানে হারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে আসা নিশ্চিত হয়ে যায় বাইডেনের। কিন্তু ট্রাম্প একাধিক নাটকীয় টুইট করে তাঁর দাবি, জিতেছেন তিনিই। তাই অধিকার ছিনিয়ে নিতে হবে। এই টুইটের পর উগ্র ট্রাম্প সমর্থকরা চড়াও হন মার্কিন সংসদ ভবনে। তছনছ হয়ে যায় গোটা ক্যাপিটল। কেউ বসেন হাউস স্পিকার ন্যান্সি প্যালোসির চেয়ারে, কেউ বা ভাঙতে থাকেন জানালার কাচ।
ফেসবুকের পক্ষ থেকে তাঁদের ওয়েবসাইটে একটি ব্লগ পোস্টে বলা হয়, কোনও বড় হিংসা সংঘটিত হলে সেই সময় প্রভাবশালীদের আচরণ খতিয়ে দেখে ফেসবুক। নতুন নীতি অনুযায়ী বিচার করা হয় তাঁদের মন্তব্য। তাই ট্রাম্পের ক্ষেত্রেও কিছু মন্তব্য ও পদক্ষেপ ফেসবুকের নীতি লঙ্ঘন করা হয়েছে। ফলে ফেসবুক থেকে তাঁকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
জেদ দেখিয়ে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, তিনি না কি নিজের টুইটার বানাবেন। এবার ফেসবুকও রেহাই দিল না ট্রাম্পকে। তবে দু’বছরের ব্যান কাটিয়ে ২০২৪ নির্বাচনের আগেই জুকারবার্গের প্ল্যাটফর্মে ওয়াপসি হতে পারে ট্রাম্পের। সংস্থার কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, যদি জনগণের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঝুঁকি কমেছে বলে মনে করা হয়, তাহলে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে।
