ব্রেকিং নিউজ রাজ্য

প্রতিমা নিরঞ্জনে শহরজুড়ে বাড়তি সতর্কতা

পুজো শেষে এবার বাতাসে বিষাদের সুর। দশমী থেকেই শুরু হয়েছে উমার বিদায়বেলা। দশমীর দুপুর থেকেই ঘাটে ঘাটে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রতিমা নিরঞ্জন। যদিও রেড রোডে পুজো কার্নিভ্যালের আগে পর্যন্ত বড় মণ্ডপগুলিতে দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়ে। এছাড়াও কলকাতার বেশিরভাগ বারোয়ারি পুজোর প্রতিমা দশমীতে নিরঞ্জন হয় না। কার্যত সেকারণেই একদিকে যেমন কলকাতার বড় মণ্ডপগুলিতে রয়েছে পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, তেমনই প্রতিমা নিরঞ্জনে শহরের প্রত্যেকটি ঘাটেও রয়েছে প্রশাসনিক কড়া নজরদারি। শহরে প্রায় ৩৪টি ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জন চলে। এছাড়া লেক ও জলাশয় মিলিয়ে ৪০টি জায়গায় প্রতিমা নিরঞ্জন হয়।

লালবাজারের সূত্র জানা গিয়েছে, দশমীর দুপুর থেকেই কলকাতার ৩৪টি ঘাটে রয়েছে জোরদার পুলিশি ব্যবস্থা। কলকাতা এবং হাওড়ার ঘাটগুলিতে প্রতিমা নিরঞ্জন চলাকালীন পুরসভার কর্তাদের সঙ্গে পুলিশকর্তারাও ঘাট পরিদর্শন করছেন। প্রতিমা নিরঞ্জনের পরই ঘাটগুলি পরিষ্কার করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, জোয়ার ভাটার সময় মাইকিং করে প্রচার চালানো হচ্ছে। ১৮টি লাইফ সেভিং বোট থাকছে। এছাড়া প্রতিটি ঘাটে বিপর্যয় মোকাবিলার টিম থাকছে। মাঝি ও ডুবুরি রাখা হচ্ছে। নিমতলা, বাজেকদমতলা, গোয়ালিয়র ঘাট ও বিচালিঘাটে চারটি বোট থাকছে যাতে জলে প্রতিমা ফেলার পর কাঠামোগুলি সরিয়ে ফেলা যায়। কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে যাতে দ্রুত উদ্ধারকাজ করা যায় সেজন্য ডিসি কমব্যাটের নেতৃত্বে দুটি উদ্ধারকারী টিম থাকছে।

১৫টি গুরুত্বপূর্ণ ঘাট, যেখান থেকে বেশিরভাগ প্রতিমা নিরঞ্জন হয়, সেখানে বসানো হয়েছে অতিরিক্ত সংখ্যক সিসিটিভি ক্যামেরা। জল পুলিশের দফতরের একটি রেসকিউ টিম তৈরি থাকছে। সেখানে থাকছেন পাঁচজন ডুবুরি। বাজে কদমতলা ঘাটে একটি বিশেষ লঞ্চে থাকছেন ৬ জন ডুবুরি। এছাড়াও বাগবাজার ঘাট, বাজে কদমতলা ঘাট, গোয়ালিয়র ঘাট ও নিমতলা ঘাটে মোতায়েন থাকছে ডিএমজির বিশেষ বাহিনী। নজরদারির জন্য সাতটি ঘাটে থাকছে ওয়াচ টাওয়ার। প্রত্যেকটি ঘাটে একজন করে ইন্সপেক্টরের আওতায় মোতায়েন থাকছে পুলিশের টিম, যার নজরদারি করবেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ও ডিসিরা। ঘাটগুলিতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিসর্জনের সঙ্গে সঙ্গে ঘাট সাফাইয়ের কাজে পুরসভার সঙ্গে সহযোগিতা করছে পুলিশও। কোনও পুজো কমিটি যাতে ডিজে না বাজায়, সেদিকে কড়া নজর রাখবেন কলকাতার ২৩৮টি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পিকেটে থাকা পুলিশকর্মী ও আধিকারিকরা।