লিড নিউজ

আগুনছোঁয়া দাম! মা লক্ষ্মীকে সন্তুষ্ট করতে নাভিশ্বাস মধ্যবিত্তের

শাস্ত্র মতে বুধবার রাতেই শুরু হবে লক্ষ্মীপূজার শুভক্ষণ। বৃহস্পতিবার ঘরে ঘরে হবে মা লক্ষ্মীর আরাধনা। সাধ্যমত ভোগ ও প্রসাদ দিয়ে দেবীকে ঘরে আহ্বান জানাবেন সকলে। কিন্তু দেবী আরাধনায় ভোগের সবজি, তরকারি থেকে প্রসাদের ফল কিনতে নাভিশ্বাস উঠছে মধ্যবিত্তের।

গৃহস্থের বাড়িতে সম্পদ, সৌভাগ্য ও সৌন্দর্যের দেবীর আরাধনা করে থাকেন। দুর্গা পুজোর কদিন বৃষ্টি না হলেও, বুধবার লক্ষ্মী পুজোর দিন সকাল থেকেই আকাশের মুখভার। কিন্তু গৃহলক্ষ্মীকে খুশি করতে থেমে নেই গৃহস্থরা। ছাতা মাথায় দিয়েই পুজোর বাজার সারছেন অনেকে। ফলের বাজারও আগুন ছোঁয়া। পুজোর ফল কিনতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে ক্রেতাদের। আপেল, নাশপাতি, শশা, বেদানা, আঙুর হোক, বা বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পটল, বিনস, কুমড়ো সবকিছুর দাম বেড়েছে অনেকটাই। ফলে কোজাগরীর আরাধনার জোগাড় করতে গিয়ে পকেট ফাঁকা আমগেরস্তের।

মূল্যবৃদ্ধি-র বাজারে ক্রেতারা যেমন অসুবিধায় পড়েছেন, তেমনি অসুবিধায় পড়েছেন বিক্রেতারাও। অধিকাংশ বাঙালির বাড়িতেই লক্ষ্মীপুজো হয়। দশকর্মার দোকানেও পকেট হালকা হচ্ছে সাধারণ মানুষের। ফলে ধনলক্ষ্মীর ব্রত পালন করতে গিয়ে মধ্যবিত্তের ভাঁড়ে মা ভবানী হওয়ার জোগাড়।

এছাড়াও রয়েছে প্রতিমার দাম। দেড় থেকে দুই ফুট উচ্চতার প্রতিমার দাম প্রায় ১০০০ টাকা। অগ্নিমূল্যের জেরে ব্যবসা অনেক কম হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। সকাল থেকেই শহর জুড়ে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। তারমধ্যেই চলছে বিকিকিনি। আকাশছোঁয়া দাম আর বৃষ্টি উপেক্ষা করেই মা লক্ষ্মীর আরাধনায় খামতি রাখতে চাইছেনা না গৃহ-কর্তারা।