রাজ্য

স্থানীয় লকডাউনে জোর বিশেষজ্ঞদের

লকডাউন নিয়ে রাজ্য সরকার নানা সময়ে নানারকম সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। ফলে করোনা সংক্রমণের চেইন ভাঙা এভাবে সম্ভব কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাই রাজ্যে সম্পূর্ণ লকডাউন নয়, এবার থেকে শুধুমাত্র কনটেইনমেন্ট জোনভিত্তিক স্থানীয় লকডাউনেই জোর দেওয়া হোক। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে এই পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাহলে এখনও লকডাউনের প্রয়োজন আছে?‌ কনটেইনমেন্ট জোনের পরিস্থিতি কী ভাল নয়?‌ শনিবারের লকডাউন তুলে নেওয়া কী উচিত হয়নি?‌ এইসব প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন গ্লোবাল অ্যাডভাইজরি কমিটির সঙ্গে সোমবার বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে আর সম্পূর্ণ লকডাউন হবে কি না, সেই বৈঠকের পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাছাড়া সেখানে থাকবেন রাজ্যের উচ্চপর্যায়ের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
এই কমিটির সদস্য, ডাঃ সুকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‌আমরা আর সম্পূর্ণ লকডাউন না করার জন্য রাজ্যকে প্রস্তাব দিয়েছি। সম্পূর্ণ লকডাউনের উদ্দেশ্য পুরোপুরি সফল হচ্ছে না। কারণ অন্যান্য দিনগুলিতে মানুষ বেশি সংখ্যায় রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছেন। সুতরাং কনটেইনমেন্ট জোনভিত্তিক লকডাউনই ভালো।’‌
উল্লেখ্য, সংক্রমণের চেইন ভাঙতে আনলক পর্বেও পূর্ণ লকডাউনের পথে হেঁটেছিল রাজ্য। সপ্তাহে এক–দু’টি দিন রাজ্যজুড়ে পালিত হচ্ছিল আগের মতোই পূর্ণ লকডাউন। শুক্রবার তেমনই লকডাউন হয়েছে। কিন্তু কেন এতে লাভ হচ্ছে না?‌ তা বোঝা যাচ্ছে না। অন্যান্য রাজ্যে তথা দেশে কড়া লকডাউনের মধ্যে দিয়ে সাফল্য পাচ্ছে। তাহলে পশ্চিমবঙ্গ পাচ্ছে না কেন?‌ উঠছে প্রশ্ন।
আগামীদিনে সম্পূর্ণ লকডাউনের পথে হাঁটা রাজ্যের কাছে চাপের। কারণ বিভিন্ন কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ইন্দিয়া গান্ধী জাতীয় মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আচমকা লকডাউন ডেকে ফেললে পরীক্ষার্থীরা অসম্ভব চাপের মধ্যে পড়বেন। এছাড়া নিট চলবে। ব্যবসা–বাণিজ্যে প্রভাব পড়ছে লকডাউনের। তাই এই সিদ্ধান্ত বলে অনেকে মনে করছেন।