খেলাধুলা

আসা–যাওয়ায় কী পেলেন মেহেতাব?‌

খেলার মাঠের চরিত্র আজও বহাল ফুটবলার মেহেতাব হোসেনের। কারণ রাতারাতি সিদ্ধান্ত বদল করে তিনি তাক লাগিয়ে দিয়েছেন! মঙ্গলবার বিকেলেই রাজনীতির ময়দানে পা রাখেন তিনি। সরাসরি যোগ দেন বিজেপিতে। কিন্তু রাজনীতিতে বয়স মাত্র ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই সিদ্ধান্ত বদল মিডফিল্ড জেনারেলের। নিজের ফেসবুক পোস্টে জানালেন, সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছাতেই সরে যাচ্ছি এই রাজনীতির ময়দান থেকে। এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কী আরও বড় দাঁও মারতেই এই সরে আসা?‌ শাসকদলের হাতছানিতেই কী সরে আসতে হল মেহেতাব হোসেনকে?‌
জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালেই একুশ বছরের দীর্ঘ ফুটবল কেরিয়ারে ইতি টানেন মেহেতাব হোসেন। তারপর মঙ্গলবার হঠাৎ রাজনীতিতে যোগ দেন মেহেতাব। মঙ্গলবার বিকেলে বিজেপি অফিসে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মেহেতাবকে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে পদ্মশিবিরে স্বাগতও জানান। রীতিমতো খোশমেজাজে বিজেপি’তে যোগদান করতে দেখা যায় তাঁকে। এমনকী এই বিষয়ে ঘনিষ্ঠ মহলে মেহেতাব জানান, মানুষের পাশে থাকার জন্যই রাজনীতিতে প্রবেশ। আর বিজেপি ধর্মনিরপেক্ষ দল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ওপর আস্থা রয়েছে। তাই গেরুয়া শিবিরে যোগদান।
কিন্তু কী এমন ঘটল যে সেই আস্থা ২৪ ঘন্টার মধ্যে তলানিতে পৌঁছল?‌ বুধবার দুপুরে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বিরাট একটা পোস্ট করেন মেহেতাব। আর তাতে সবিস্তারে রাজনীতির আঙিনা থেকে সরে দাঁড়িয়ে ফের মাঠে ময়দানে ফিরে আসার ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। অনেকে বলছেন, ফুটবল ময়দানে যেমন যে দল বেশি টাকা দেয় সেই দলে ফুটবলাররা যোগ দেন। এরকম একটা রেওয়াজ আছে। এক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে। অর্থাৎ মেহেতাব নাকি সরে দাঁড়াবার জন্য টাকা পেয়েছেন। মেহেতাব জানিয়েছেন, কারও প্রতি কোনও ঘৃণা নেই, রাগ নেই। বাইরের কেউ এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্যও করছে না। সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছাতেই সরে যাচ্ছি এই রাজনীতির ময়দান থেকে। আজ থেকে কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমি যুক্ত নই।