জেলা

নির্বাচনের শুরুতেই ইভিএম বিভ্রাট

কেন্দ্রীয় বাহিনীর বেনজির কড়াকড়ির মধ্যে দিয়ে রাজ্যে শুরু হল প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের মোট ৩০টি আসনে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। এই প্রথম দফার ভোটে ৩০ আসনে ৬৫৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। প্রথম ১ ঘণ্টায় ৯০টি ইভিএম বিকল হয়ে একাধিক জায়গায় বন্ধ ভোটগ্রহণ। তার মধ্যে ইতিমধ্যে ৩৪টি ইভিএম বদল করা হয়েছে। সূত্রের খবর, ১.৫% কন্ট্রোল ইউনিট ও ভিভিপ্যাডে সমস্যা দেখা গিয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর, কাঁথি উত্তর, ভগবানপুর, খেজুরি, কাঁথি দক্ষিণ, রামনগর এবং এগরাতে ভোট হচ্ছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন, কেশিয়াড়ি, খড়্গপুর, গড়বেতা, শালবনি এবং মেদিনীপুর কেন্দ্রে, ঝাড়গ্রামের বিনপুর, নয়াগ্রাম, গোপীবল্লভপুর, ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রে, পুরুলিয়া জেলার বাঘমুন্ডি, বলরামপুর, বান্দোয়ান, জয়পুর, পুরুলিয়া, মানবাজার, কাশীপুর, পারা ও রঘুনাথপুর কেন্দ্রে এবং বাঁকুড়ার রাইপুর, রানিবাঁধ, ছাতনা ও শালতোড়াতেও ভোট প্রথম দফায়।
পরপর ইভিএম বিকলের খবর আসে। গড়বেতা ১ নম্বর ব্লকের নলপায় ইভিএম বিকল হয়। চন্দ্রকোণার একাধিক বুথে ইভিএম খারাপ। ২১৫এ, ২১৩, ২৩৪ নম্বর বুথে ভোটগ্রহণে দেরি হয়। পুরুলিয়ার কস্তুরবা বালিকা বিদ্যালয়ের বুথে ভোটগ্রহণ হওয়ার পরেই ইভিএম বিকল হয়ে যায়। পুরুলিয়ার ১৩২ নম্বর বুথে ভোটগ্রহণে দেরি। কাঁথির কিশোরনগর শচীন্দ্র শিক্ষাসদনের বুথে ইভিএম সমস্যা। কেশিয়াড়ির অর্জুনগেড়িয়ায় ২২১ নম্বর বুথে ইভিএম বিকল। বাঘমুণ্ডির গোবিন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ নম্বর বুথে ইভিএম খারাপ। রঘুনাথপুর বিধানসভার হাটতলা হিন্দি ফ্রি প্রাইমারি স্কুলে ইভিএম বিকল হয়ে বন্ধ রয়েছে ভোট গ্রহণ। ইভিএম খারাপ, প্রিসাইডিং আধিকারিক অসুস্থ। দক্ষিণ কাঁথির একটি বুথে বন্ধ ভোটগ্রহণ।
মোটের ওপর শান্তিপূর্ণভাবেই চলছে ভোটগ্রহণ। জানালেন বিজেপি নেতা তথা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী। তবে অশান্ত শালবনি। সিপিএম প্রার্থী সুশান্ত ঘোষের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়ার অভিযোগ। জুতো দেখিয়ে বিক্ষোভ। ভাঙল গাড়ির কাঁচ, আক্রান্ত সংবাদমাধ্যমও। অভিযোগের তীর তৃণমূল কর্মীদের দিকে। এরই মধ্যে প্রায় ৯০টি ইভিএম বিভ্রাটের খবর মিলল। বদল করা হয়েছে ৩৪টি মেশিন। শালবনিতে সংযুক্ত মোর্চা প্রার্থী সুশান্ত ঘোষ অভিযোগ করেন, শুইমাদহ স্কুলের বুথে মোর্চার এজেন্টদের বসতে দেওয়া হচ্ছে না। তাই নিয়ে তৃণমূলের বুথকর্মীদের সঙ্গে বচসা বাধে সুশান্তর।