পিসি-ভাইপো থেকে তৃণমূলের সবাই চোর, এদিক থেকে চোখ ঘোরাতেই ও বাজার গরম করতেই শাসক দল মরিয়া প্রয়াস চালাচ্ছে। আজ বালুরঘাটে এক সাংবাদিক বৈঠকে শাসক দল তৃণমূলের তোলা অভিযোগ নিয়ে এ কথাই বলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
তিনি আরো জানান, অশোক ভট্টাচার্য উত্তরবঙ্গের একজন বর্ষিয়ান রাজনৈতিক নেতা। তাছাড়া রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র। তার সাথে বিজয়ার পর ও দীপাবলির শুভেচ্ছা জানাতে সৌজন্যমূলক দেখা করতে সাংসদ রাজু বিস্তা ও বিধায়ক শংকর ঘোষের যাওয়াতে তৃণমূলের অন্য মানে খুঁজতে যাওয়া বোকামি ছাড়া আর কিছু নয়।
সাথে তিনি যোগ করে বলেন, আমি ও দিলীপ ঘোষ ও তার সঙ্গে সৌজন্য সাৎক্ষাত করেছি। সুকান্তের অভিযোগ, আসলে পিসি-ভাইপো থেকে তৃণমূলের সবাই চোর এর থেকে চোখ ঘোরাতেই বাজার গরম করার জন্যই শাসক দল ইচ্ছাকৃত বিভিন্ন রটনা করছে।
উৎসবের মরসুমে আলোর উৎসবে রাস্তায় বসে বেকার চাকরিপ্রার্থীরা। আলোর উৎসব কিন্তু তাদের অন্ধকার আর ঘুচল না। এ প্রসঙ্গে সুকান্ত বাবু জানান, বিজেপি রাজ্যের ক্ষমতায় এসেই তাদের জীবনের অন্ধকার দূর করেই আলোর দিশা দেখাবে। সেদিন বেশি দেরী নেই বলে তিনি জানান।
যদিও ডিসেম্বরের মধ্যে তৃণমূলের সরকার পড়ে যাবে বলে যেটা বলা হচ্ছে, সে প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, আগে তো শুধু আমরা পিসি-ভাইপো চোর বলতাম এখন ইডি হলফনামা দিয়ে বলছে পিসি ভাইপো তো চোর বাকি তৃণমূলের অনেকে চোর। তাই স্বাভাবিক ভাবে সবাই জেলে গেলে এমনিতেই সরকার পড়ে যাবে বলে তিনি স্পষ্ট জানান।
আজ ভাটপাড়ায় বল ভেবে বোমা নিয়ে খেলতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু নিয়ে প্রশ্নের জবাবে সুকান্ত বলেন, পুলিশ শুধু হরিশ চ্যাটার্জীর রাস্তায় দু’জনকে প্রহরা দিতেই ব্যস্ত। তাই যাদের এসব আটকাবার কথা তারা তা করছেন না। যার ফলে এসব ঘটছে। তিনি আরো আরো বলেন, আসলে পশ্চিমবঙ্গ এখন আস্ত বারুদের উপর বসে আছে, পুলিশের গাফিলতির জন্য। পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপিকে প্রতিহত করতেই এসব মজুত করে রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর দীপাবলির ভাষনে শক্তি প্রদর্শন নিয়ে বিরোধীদের খোঁচা প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সভাপতির বক্তব্য, আমাদের দেশ কোন দেশকে আক্রমন করেনা। কিন্তু দেশের চারদিকে অনেক ছোট রাষ্ট্র আমাদের দেশকে আক্রমন করার চেষ্টা চালায়। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এই শক্তি প্রদর্শনের কথা প্রধানমন্ত্রী বলতে চেয়েছেন বলে তিনি জানান।